প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার প্রশিক্ষণের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে নানাবিধ উন্নয়ন ও সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রশিক্ষণ দিবসের প্রক্কালে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) ‘বাংলাদেশ প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন সমিতি (বিএসটিডি)’ সমিতির ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ২২তম জাতীয় প্রশিক্ষণ দিবস পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী এ আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের অবকাঠামো উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ক্যাডার অফিসারদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ চার মাস থেকে বাড়িয়ে ছয় মাস করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসকে সেবাধর্মী, উন্নয়নবান্ধব ও আধুনিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের পরিসর বাড়ানোসহ নানারকম সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএসটিডি দীর্ঘকাল ধরে মানবসম্পদ উন্নয়নের বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রশিক্ষণ বিষয়ক গবেষণা পরিচালনা, সরকারি বেসরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে সমন্বয়মূলক কাজ ও উচ্চতর প্রশিক্ষণ আয়োজন করে রাষ্ট্রের মানবসম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আগামী দিনে বিএসটিডি’র গৃহীত সকল কার্যক্রম সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
শেখ হাসিনা সমিতির ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ২২তম জাতীয় প্রশিক্ষণ দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।