শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে প্রতিবেশী মামা আলাল উদ্দিন (৩২) নামে যুবকের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে শনিবার রাতে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আলাল উদ্দিন উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের তোয়ালকুচি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে ওই কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশ ও কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন গত শুক্রবার সকালে ওই কিশোরীর মা তার ছোট ভাইকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালে যান। বাবা কৃষি কাজের জন্য বাড়ির বাইরে চলে যান। এই সুযোগে সকাল ৯ টার দিকে অভিযুক্ত আলাল উদ্দিন ওই কিশোরীকে একা ঘরে পেয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। এসময় আলাল উদ্দিন জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে উড়না দিয়ে হাত পা বেঁধে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এতে ওই কিশোরী কান্নাকাটি করতে থাকেন। একপর্যায়ে কিশোরীর বাবা বাড়িতে এসে মেয়ের কাছ থেকে ঘটনাটি জানতে পারেন। শনিবার ওই কিশোরীর পরিবার ঘটনাটি পোড়াগাঁও বিট পুলিশিংয়ের দায়িত্বে থাকা নালিতাবাড়ী থানার এসআই আব্দুস সালামকে অবগত করেন। পরে এসআই আবদুস সালাম ঘটনাটি সরেজমিনে তদন্ত করেন। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় শনিবার রাতে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে আলালের বিরুদ্ধ মামলা করেন। এদিকে, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত আলাল উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
ওই কিশোরীর মা বলেন, আলাল উদ্দিন খালি বাড়ি পেয়ে আমার মেয়ের জীবনটা সর্বনাশ করে দিয়েছে। আমি এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই। যাতে কেউ যেন আমার মেয়ের মত জীবনের সর্বনাশ করতে না পারে।
অভিযুক্ত আলাল উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
