প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি : গত ২৫ আগষ্ট,২০১৯ ইং ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত দৈনিক মোমেনশাহী পত্রিকাসহ বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় গনমাধ্যমে প্রকাশিত “ঝিনাইগাতীতে ভূমি কর্মকর্তার দূর্নীতিতে জমি হারানোর আশংকায় আদিবাসী পরিবার” শিরোনামের খবরটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা আদৌ সত্য নয়, মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
বরং সত্য হলো, ঝিনাইগাতীর ধানশাইল মৌজার, উত্তর ধানশাইল গ্রামের প্রসন্ন সাংমার প্রথমা স্ত্রী দানজী ম্রং তার একমাত্র কন্যা তার্শিলা ম্রংকে রেখে মারা যান। তাদের বিয়ের নিয়মনীতি মোতাবেক নিকটতম কোন আত্মীয়ের মধ্যে বিবাহ করার কোন উপযুক্ত পাত্রী না থাকায় নুনাং ম্রং নামে এক মহিলাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন প্রসন্ন সাংমা। প্রসন্ন সাংমার দ্বিতীয় স্ত্রী নুনাং ম্রং এর গর্ভে কোন সন্তানাদি না হওয়ায় নুনাং ম্রং তার দুই ছোট বোন পঞ্জিতা ও সঞ্জিতা ম্রং এর সকল ছেলে-মেয়েদের পরিবারে এনে ভরণ পোষণ করেন।
প্রসন্ন সাংমার প্রথমা স্ত্রী দানজী ম্রং এর গভের্র একমাত্র কন্যা তার্শিলা ম্রং থাকা সত্ত্বেও নুনাং ম্রং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তার বোন পঞ্জিতার মেয়ে সুকলপী ম্রং এর জন্য ট্রেনী চিছামকে জামাই এনে সুকলপীর সাথে বিয়ে দেন। সুকলপী ম্রং মারা গেলে ট্রেনী চিছাম তার শ্যালিকা সমিকা ম্রংকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন।
প্রসন্ন সাংমার ঔরসে তার প্রথমা স্ত্রী দানজী ম্রং এর গভের্র একমাত্র কন্যা তার্শিলা ম্রং প্রসন্ন সাংমার সমস্ত সম্পত্তির ওয়ারিশ সূত্রে মালিক। সেই সূত্র ধরে তার্শিলা ম্রং এর তিন কন্যা উর্সুলা ম্রং, উজ্জলা ম্রং ও উৎপলা ম্রং গণ প্রসন্ন সাংমার সমস্ত সম্পত্তির মালিক। যা গত ২০১৬-১৭ অর্থসালে ঝিনাইগাতির ধানশাইল মৌজায় জমিজমা খারিজ কেস নং ৩৮৬(IX-I) মূলে খারিজ করা হয়েছে, খারিজ খতিয়ান নং-১৫৫৩।
এখানে প্রতারণা কিংবা দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অন্য কারো জমি খারিজ করা হয়নি বিধায় উক্ত প্রকাশিত সংবাদের কোন ভিত্তি নেই এবং সংবাদটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তাছাড়া ভুমি কর্মকর্তা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই সকল কার্য সম্পাদন করেছেন। আমরা প্রকাশিত সংবাদটি প্রকাশের নিন্দা জ্ঞাপনসহ এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। – উর্সুলা ম্রং, উজ্জলা ম্রং ও উৎপলা ম্রং ,উত্তর ধানশাইল, ঝিনাইগাতী, শেরপুর।