নেপাল ঘুরে আসবেন ভাবছেন? তাহলে কাঠমান্ডুর পরই গুনতে হবে পোখরা শহরকে। আরাম-আয়েশে ঘুরবেন কিংবা অভিযান চালাবেন, সব কাজেই দারুণ বন্ধুবৎসল এই শহর। কাঠমান্ডু থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরের শহরের নাম পোখরা। আসছে পূজার ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন পাহাড়ি শহরটিতে।
পোখরাকে বলা হয় ‘মাউন্টেন ভিউ’। সত্যিই তো তাই! এই শহরের চূড়ায় দাঁড়ালেই দেখা দেয় হিমালয় পর্বতমালা। এখান থেকে হেলিকপ্টার ভাড়া করে যাওয়া যায় মুক্তিনাথে। সেখানে গেলে মন মুক্ত পাখির মতো ডানা মেলে উড়তে চায়। খানিকটা দূরত্বে রয়েছে ফেওয়া লেক। পোখরায় বেড়াতে গেলে নেই জায়গাটি হয়ে উঠবে মনোরঞ্জনের কেন্দ্রবিন্দু। ফেওয়া লেকের জলে নৌভ্রমণের আনন্দ নিন। লেকের জলেই পেয়ে যাবেন বারাহি মন্দির।
ডেভিস ফল নামক একটি জায়গা আছে পোখরায়। এটির ধারে এসে দাঁড়ালে জলকণায় ভিজে যাবে শরীর। এর ঠিক অপর দিকেই রয়েছে মহেন্দ্র গুহা। চুনা পাথর দিয়ে গঠিত এটি। প্রচুর বাদুড়ের দেখা মেলে এখানে। এর কিছুটা দূরে চেমেরি গুহা অবস্থিত।
রোমাঞ্চকর খেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম বাঞ্জি জাম্প। পোখরায় বাঞ্জি জাম্পের সুযোগ অনেক পুরনো আমল থেকেই চালু রয়েছে। দিন দিন তার জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। এছাড়া উপভোগ করতে পারবেন প্যারাগ্লাইডিং। পোখরায় রয়েছে এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সুযোগ। অবসর কাটাতে পোখরায় সাইক্লিং করতে পারেন। উপভোগের সঙ্গে দারুণ ব্যায়াম তো হবেই।
আকাশ ও সড়কপথে নেপাল যাওয়া যায়। আকাশপথে খরচটা বেশি আর সময় ও শারীরিক পরিশ্রমের মাত্রা বেশি হবে সড়কপথে। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু এবং কাঠমান্ডু থেকে ঢাকা চলাচল করে প্রতিদিন। পৌঁছাতে সময় লাগে দেড় ঘণ্টার মতো। কাঠমান্ডু ঘোরা শেষ হলে বাসেই যেতে পারেন পোখরা।