পুত্রবধূর কাছ থেকে টাকা ধার আনতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মারা গেছেন এক শ্বশুর। ১৭ আগস্ট বৃস্পতিবার সকালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার দোহালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, ২০১২ সালে বড়ডুবি গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা হতদরিদ্র সেকান্দর আলী তার ছেলে ছামিদুলকে পার্শ্ববর্তী দোহালিয়া গ্রামের অপর দিনমজুর আশরাফ আলীর কন্যা আয়শা বেগমের সাথে বিয়ে করান। অভাবের সংসারে একটি কন্যা সন্তান আসার পর একটু ভালো করে বাঁচতে স্ত্রী আয়শাকে বাড়িতে রেখে গত ১০১৬ সালের শেষদিকে ঢাকায় পাড়ি জমায় ছামিদুল। সেখানে গিয়ে রিক্সা চালিয়ে কোন এক সময় গোপনে গার্মেন্টস কর্মী ও এক সন্তানের জননী সাথী আক্তার মারুফা নামের আরেক নারীকে বিয়ে করে সে। ফলে বাড়িতে আসা-যাওয়া কমে যায়। ভরণ-পোষণ ঠিকমত না দেয়ায় কিছুদিন আগে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে। এতে প্রথম স্ত্রী আয়শা সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়ি ছেলে পিতার বাড়ি চলে আসে। এরপর থেকে স্বামীর সাথে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে সেকান্দর আলী বিয়াই বাড়িতে যান। এরই কিছুক্ষণ পর আশপাশের লোকজন বাড়ির আঙিনায় সেকান্দর আলীকে পানি ঢালতে দেখেন প্রতিবেশিরা। পরে জানা যায়, সেকান্দর আলী মারা গেছেন।
পুত্রবধু আয়শা জানায়, ঢাকায় তার স্বামী ছামিদুল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে বলে শোনেছেন। তাই ছেলেকে দেখতে যাওয়ার জন্য তার কাছে শ্বশুর সেকান্দর এক হাজার টাকা ধার আনতে যান। এসময় নাতী কোলে নিতে চেয়ে আকস্মিক মাটিতে পড়ে নিচে পড়ে থাকা বাঁশে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা যান সেকান্দর আলী। মৃতের স্ত্রী ফুলমতি জানায়, তার স্বামী সেকান্দরের তিন দিন যাবত প্রেসার বেশি থাকায় অসুস্থ ছিল।
তবে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে, পারিবারিক কলহের জেরে তর্কের একপর্যায়ে কিছু একটা দিয়ে আঘাত করলে সেকান্দর মারা যায়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ বকুল জানান, এটি হত্যা না আকস্মিক মৃত্যু এ নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তবে মৃতের পরিবারের পক্ষে কোন অভিযোগ এখনও করা হয়নি। নালিতাবাড়ী থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনা শুনেছি। তাদের পরিবারের পক্ষে লোক আসার কথা। এলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেরপুর টাইমস/ বা.স