পিএসজির জার্সিতে মাঠে নামার পর এখনও ফরাসি লিগ ওয়ানে জালের দেখা পাননি লিওনেল মেসি। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আছেন অসাধারণ ছন্দে। কাল নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে করেছেন জোড়া গোল। দারুণ খেলেছেন কিলিয়ান এমবাপেও। তাতে পিছিয়ে পড়েও আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে স্বস্তির জয় মিলেছে পিএসজির।
মঙ্গলবার রাতে পাক দি ফ্রাঁসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতেছে পিএসজি। স্বাগতিকদের দলে ছিলেন না নেইমার। তবে পিছিয়ে থেকেও শেষ সময়ে মেসির পায়ের জাদুতে দারুণ জয় তুলে নেয় মাওরিসিও পচেত্তিনো দল।
দারুণ জয়ে গ্রুপ শীর্ষে নিজেদের স্থান বজায় রাখল পিএসজি। ৩ ম্যাচে ২ জয় আর এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে পিএসজি। দুইয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। লাইপজিগ কোনো পয়েন্ট না নিয়ে রয়েছে তলানিতে।
ম্যাচে তারকা নির্ভর পিএসজির পায়েই বল ছিল ৬৪ শতাংশ। গোলের লক্ষ্যে নেওয়া তাদের ৮টি শটের চারটি ছিলো লক্ষ্যে। বিপরীতে ১২ শট নেওয়া লাইপজিগের ৪টি ছিলো লক্ষ্যে।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে দুই দল। গোল করার মতো প্রথম সুযোগটা অবশ্য পায় সফরকারী লাইপজিগ। তৃতীয় মিনিটে ক্রিস্টোফার এনকুকুর কাছ থেকে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন কনরাড লেইমার। তবে বুদ্ধিদীপ্ত শট নিতে পারেননি অস্ট্রিয়ান মিডফিল্ডার। তার শট ঠেকাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে।
এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত পেনাল্টিতে পিছিয়ে যায় লাইপজিগ।
নবম মিনিটেই এগিয়ে যায় পিএসজি। ড্রাক্সলারের কাছ থেকে বল পেয়ে এক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে নিখুঁত এক শটে বল জালে পাঠান এমবাপে। ২৮ মিনিটে সমতায় ফেরে সফরকারীরা। সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে দারুণ এক ক্রস করেন আঞ্জেলিনো। ফাঁকায় বল পেয়ে আলতো টোকায় বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল হয়নি সিলভার। বিরতির আগে বেশ কিছু আক্রমণ হলেও এগিয়ে যেতে পারেনি কেউ।
বিরতির পর লাইপজিগের ম্যাচে পারফরম্যান্স অনুযায়ী যোগ্য দল হিসাবেই ৫৭ মিনিটে এগিয়ে দেন। তবে টাইলার অ্যাডামসের এক ব্যাকপাস এমবাপে ইন্টারসেপ্ট করে মেসির জন্য বল সাজিয়ে দেন। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারও গোল করতে ভোলেননি। এরপর এমবাপের পাওয়া পেনাল্টি থেকে পিএসজিকে ৩-২ এগিয়ে দেন মেসি। শেষ দিকে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। হ্যাটট্রিকও হতে পারত মেসির। কিন্তু দলের দ্বিতীয় পেনাল্টি শট নিয়ে উড়িয়ে মারেন এমবাপে।