বান্দরবানে অবিরাম বৃষ্টিতে আজ মঙ্গলবার পাহাড় ধসে ঘর চাপা পড়ে নারী-শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে জেলা শহরের কালাঘাটা বীর বাহাদুর নগরে এক নারীর এবং লামার দুর্গম সরই ইউনিয়নে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের কালাঘাটা বীর বাহাদুর নগরে রোয়াংছড়ি সড়ক সংলগ্ন এলাকার পাহাড় ধসে পড়লে মিলন দাশের ঘরটি চাপা পড়ে। এ সময় মিলন দাশের স্ত্রী প্রতিমা রাণী দাশ (৪৫) মাটি চাপা পড়েন। স্থানীয় লোকজন ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
বীর বাহাদুর নগরে গিয়ে দেখা যায়, মিলন দাশের বাসা বিপদকজনকভাবে পাহাড় কেটে পাহাড়ের পাদদেশে নির্মান করা হয়েছে। সেখানে একটি মসজিদ ও বেশ কয়েকটি পরিবারও পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে। পৌরসভার কালাঘাটা এলাকার কাউন্সিলর অজিত কুমার দাশ বলেছেন তিনি এবং প্রশাসন থেকে বার বার ঝুঁকিপূর্ণ বাসাবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলা হলেও কেউ সরছে না।
এদিকে লামা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দূরে সরই ইউনিয়নের দুর্গম কালাইয়ের ছড়ায় বেলা ১টার দিকে মাঈন উদ্দিনের বাড়িতে পাহাড় ধসে পড়ে। এ সময় মাটি চাপা পড়ে মাঈন উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ হানিফ (৩৫), ছেলে বৌ রিজিয়া বেগম (২৩) ও নাতনী হালিমা বেগম (৩) নিহত হন। তাঁরা বাগানের কাজ শেষে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় পাহাড় ধসের এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।
সরই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কালাইয়ের ছড়া এলাকার সদস্য আশ্রাফ আলী বলেছেন পাহাড় ধসের ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে সংবাদ দেওয়া হলেও এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় তারা তাৎক্ষণিকভাবে আসতে পারেনি। স্থানীয় লোকজন মাটি সরিয়ে নিহত তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছেন।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আপ্পেলা রাজু নাহা বলেছেন, মাটি চাপা অবস্থা থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পাহাড় ধসে সড়কের বিভিন্ন স্থানে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় এখানো তিনি সেখানে পৌঁছতে পারেননি এবং লাশগুলোও এখনো সেখানে রয়েছে।
সূত্র: প্রথম আলো।