উঁচু-নিচু অসংখ্য ঢেউ খেলানো পাহাড়ের বুক চিরে আঁকা বাকা হয়ে সর্পিল রাস্তা চলে গেছে দিগন্ত জুড়ে। পথ পথে প্রকৃতির অপরুপ নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য যে কোনো ভ্রমণ পিপাসুদের মন কাড়তে সক্ষম। বছরের যে কোনো সময় এখানকার প্রকৃতি তার আপন মনেই সাজে। আপনাকেও কি পাহাড় ডাকছে? দু’দিনের জন্য মানসিক শান্তি খুঁজতে চান? বেরিয়ে পড়ুন সামসিং-র উদ্দেশ্যে।
ডুয়ার্স মানেই তো বড় বড় পাথরের ওপর দিয়ে বয়ে চলা পাহাড়ি নদী আর বনাঞ্চল। ফুল আর পাখির কাকলি, চোখ জুড়ানো নৈসর্গিক শোভা আর সীমাহীন নির্জনতা। ভারতের ভুটান সীমান্তে এমনই এক জনপদ সামসিং। চা ও কমলালেবু চাষ করাই এখানকার মানুষের প্রধান জীবিকা। সামসিং থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মূর্তি নদী। প্রায় ২,৫০০ ফুট উচ্চতায় এলে দেখা মিলবে অপূর্ব সুন্দর উপত্যকার। পাইনের বদলে শাল, শিমুলের বিশাল বৃক্ষরাজির দখলে থাকা সামসিং-এ প্রচুর কমলালেবু গাছ আর নানা পাখির দেখা মেলে। শীতে এখানে একটি বিশেষ কমলালেবুর ফেস্টিভ্যাল হয়।
কলকাতা থেকে সামসিং-এর দূরত্ব ৬৩৮ কিলোমিটার। কিন্তু শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৮১ কিলোমিটার দূরে। চালসা পার করে পথ গিয়েছে চা বাগানের ভেতর দিয়ে। যতদূর চোখ যায় সবুজ চা-বাগান। মূর্তি নদীর কোলে পাহাড় পাইন শাল সেগুনের বন দিয়ে ঢাকা বন্য গ্রাম। যে-কোনো উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনে করে নামতে হবে মাল জংশনে।
কীভাবে যাবেন
শিলিগুড়ি মিত্তাল বাসস্ট্যান্ড থেকে সামসিং যাওয়ার জন্য বাস ছাড়ে। তবে সারাদিনে মাত্র দু’টি বাস যায়। তাছাড়া যে-কোনো বাসে করে চালসা চলে যান। সেখান থেকে শেয়ার জিপে বা গাড়ি রিজার্ভ করে চলে যান সামসিং। চালসা থেকে সামসিং-র দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার। কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসও যায় নিউ মাল জংশনে। সেখান থেকে মেটেলি হয়ে সামসিং ৩০ কিলোমিটার।