পৃথক পাঁচটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে ঢাকায় করা তিনটি এবং নড়াইল ও কুমিল্লায় করা একটি করে মামলায় তার জামিনের মেয়াদ বাড়লো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
মামলাগুলোতে জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ মানহানির অভিযোগে করা ঢাকার তিনটি এবং নড়াইলের মামলায় জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আদেশ দিয়েছেন। এছাড়াও কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগের মামলায় জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন বিচারপতি এএফএম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন ও অ্যাডভোকেট রোকনুজ্জামান সূজা।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর এ মামলার আপিলে তার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।
এছাড়াও ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
এরপর কারান্তরীণ অবস্থায়ই ২০১৮ সালের ৬ অক্টোবর ও ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়। এভাবে কয়েক দফায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এবং হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেওয়া হয়। তবে এরই মাঝে দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে তার পরিবার সরকারের কাছে আবেদন জানায়। পরে চার দফায় খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রাখে সরকার।