নেত্রকোনার বারহাট্টায় পশুচিকিৎসকের অস্ত্রোপচারে প্রসূতি ও নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় মামলার পর তাদের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে রোববার (৮ মে) বেলা ১১টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা চৌধুরীর উপস্থিতিতে কবর থেকে মা-সন্তানের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বারহাট্টা সার্কেল) সাইদুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল হক, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাসিম তালুকারসহ এলাকার অসংখ্য মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা চৌধুরী বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে মা ও সন্তানের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে, এটি বিচারাধীন বিষয়। তাই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আদালত পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।’
বারহাট্টা থানার ওসি লুৎফুল হক বলেন, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর কারণ জানতে তাদের মরদেহ উত্তোলনের জন্য শনিবার আদলাতে আবেদন করা হয়। রাতে আদালত তা মঞ্জুর করেন। আজ মরদেহ উত্তোলন করে দুপুরের দিকে নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
এর আগে বুধবার (৪ মে) উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামে পশুচিকিৎসকের ভুল অস্ত্রোপচারে প্রসূতি শরিফা আক্তার (২০) ও নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরদিন সকালে ঘটনা খতিয়ে দেখতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত পশুচিকিৎসক আবুল কাশেমকে আটক করে পুলিশ। পরে রাতে ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে পশুচিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভূল চিকিৎসায় প্রসূতি ও শিশু হত্যার অভিযোগে মামলা করেন।
মামলায় অভিযুক্ত আবুল কাশেনকে গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার (৬ মে) সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
শরিফা আক্তার উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের বাকপ্রতিবন্ধী হাইছ উদ্দিনের মেয়ে। গতবছর সুনামগঞ্জের তাহেরপুর উপজেলায় তার বিয়ে হয়। তার স্বামীর নাম মহসিন মিয়া। অভিযুক্ত পশুচিকিৎসক আবুল কাশেম পাশের জীবনপুর গ্রামের বাসিন্দা।