কলকাতায় মাধ্যমিকে নকল আটকাতে তৎপর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এজন্য এই বছর বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নিতে চলেছে তারা। পরীক্ষার্থীরা আগের মতোই মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকক্ষে ঢুকতে পারবে না। এছাড়া, বাইরে থেকে ‘উত্তর’ সরবরাহ আটকাতে পারে অনেক স্কুলের জানলায় লোহার তারজাল বসানো হয়েছে।
কলকাতার দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া জানান, নকল রুখতে সমস্ত ধরনের ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি করে কেন্দ্রে ঢোকানোর কথাও বলা হয়েছে।
মাধ্যমিকে মালদহে টুকলি প্রতিবছরই খবরের শিরোনামে উঠে আসে। বছর দুয়েক আগের ঘটনা। মালদহের মানিকচক থানার কালিন্দ্রী হাইস্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষার শেষ দিনে বাজি ফাটিয়েছিল একদল পরীক্ষার্থী। ওই স্কুলে অনেক নকল হয়েছিল বলে অভিযোগ। অভিযোগ, বাইরে থেকে ‘নকল’ সরবরাহ করেন একাংশ অভিভাবকই। তাই এবারে কালিন্দ্রী-সহ বেশকিছু স্কুলের নিচতলার জানলায় তারজাল দেওয়া হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার মধ্যে ইসলামপুরে অন্তত ২২টি স্কুলকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সেগুলোতে সিসি ক্যামেরা থাকছে।
এতদিন পরীক্ষা শুরু হওয়ার দেড়ঘণ্টা আগে পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রধানশিক্ষকের ঘরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে পরীক্ষার নজরদারির দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের মধ্যে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হত। গতবছর ময়নাগুড়িতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর এবছর পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের সামনে প্রশ্নপত্র খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নকলের প্রবণতা কম বলে প্রশাসনের দাবি। তাই এই জেলার কোনও কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা বা ভিডিয়োগ্রাফি থাকছে না। জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া বলেন, ‘আমাদের জেলায় কোনও কেন্দ্রেই নকল করার অভিযোগ নেই। তাই ভিডিয়োগ্রাফি হচ্ছে না।’
সূত্র: বাংলা