শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, জনসংখ্যা বৃব্ধি ও নগরায়ন ফলে বাংলাদেশ গত তিন দশকে জমির পরিমাণ ৯.৮ মিলিয়ন হেক্টর থেকে ৮.২৭ মিলিয়ন হেক্টর পর্যন্ত কমে যাওয়া সত্যেও খাদ্য শস্য উৎপাদন ১৯৭০-এর দশকে প্রায় ১০ মিলিয়ন টন থেকে বেড়ে ২০১৬-১৭ মাসে ৩৮.৬৮ মিলিয়ন টনে দাঁডড়িয়েছে। আশা করা হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে ধানের ব্যবহার ৩৮.৬২ মিলিয়ন টন হবে (এসডিজি হিসাবে)।
বাংলাদেশ এখন খাদ্যশস্য বিশেষ করে ধানের মধ্যে স্বযংসম্পূর্ণ। কৃষি বিপ্লবে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। বাংলাদেশ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সবসময়ই সচেষ্ট এবং কৃষিসহ সব ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ১৭ জানুয়ারী রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম ২০১৮ Bulding Resilince in Agriculture and Extreme Climate Condition শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার হচ্ছে কৃষিবান্ধব সরকার। বাংলাদেশের বিজ্ঞানিরা তাদের মেধা ও সক্ষমতা দিয়ে ক্ষতিকারক পোকার প্রতিরোধক জিন সন্নিবেশ করে নতুন বেগুনের জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে। বিজ্ঞানীরা পাটের জিনোম এবং পাটের কান্ড পঁচা রোগের জন্য দায়ী ছত্রাকের জিনোম সিকোয়েন্সে সক্ষম হয়েছে।
পরিবেশের ভারসাম্যর কথা মাথায় রেখে কৃষি ক্ষেত্রে সোলার এর মাধ্যমে পাম্প চালিয়ে জমিতে সেচ দেয়া,উপরের অংশের পানি ব্যবহারে অধিক উৎসাহিত করা হচ্ছে পাশাপাশি ভুগর্বস্থ পানি ব্যবহারে অধিক সচেতন হওয়ার বা সেচকাজে ব্যবহার কম করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, সচিব কৃষি মন্ত্রণালয় মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন অবদুল্লাহ।