ঢাকার কমলাপুর থেকে পদ্মাসেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন আগামী ১০ অক্টোবর করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮২ কিলোমিটার এ রেলপথের উদ্বোধন করবেন। ঐদিন ট্রেনে করে পদ্মাসেতু তিনি পাড়ি দেবেন। রোববার রাতে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এসব তথ্য গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের আগামী ১০ অক্টোবর পদ্মাসেতু রেল সংযুক্ত প্রকল্পের উদ্বোধনের জন্য সময় দিয়েছেন। ঐদিন কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটবে।
তিনি বলেন, পদ্মা রেললাইন উদ্বোধন কেন্দ্র করে সমাবেশের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে এখনো জায়গা চূড়ান্ত করা হয়নি। আগেরবার যেহেতু পদ্মা নদীর ঐ পারে সমাবেশ হয়েছিল, তাই এবার এই পারে সমাবেশ হতে পারে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, কেরানীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর, লৌহজং, পদ্মাসেতু, শরীয়তপুরের জাজিরা, মাদারীপুরের শিবচর, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, নড়াইল, মাগুরা হয়ে যশোর পর্যন্ত এ রেলপথে ২০টি স্টেশন থাকবে।
প্রকল্পের অধীনে মূল পথ ১৬৯ কিলোমিটার। সেখানে লুপ ও সাইডিং ৪২.২২ কিলোমিটার এবং তিন কিলোমিটার ডাবল লাইনসহ মোট ২১৫.২২ কিলোমিটার রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণ করা হচ্ছে।
এদিকে শুরুতে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত কয়টি ট্রেন চলবে তা এখনো চূড়ান্ত করেনি রেলপথ মন্ত্রণালয়। তবে এ অংশ চালু হলে আরো ছয়টি রেলপথ এর সঙ্গে যুক্ত হবে। ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ১৮ হাজার ২১০ কোটি ১১ লাখ টাকা দিচ্ছে সরকার। বাকি ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে চায়না এক্সিম ব্যাংক। এ প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।