শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদীতে ফায়ার স্টেশন নির্মাণ কাজ দুই বছর আগে শেষ হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগের কাছ থেকে ফায়ার স্টেশন কর্তৃপক্ষ অবকাঠামো বুঝে না নেয়ায় প্রতিষ্ঠান দুটি এলাকাবাসীর কোনো কাজে আসছে না। এ কারণে ফায়ার স্টেশন থাকার পরও ওই দুই উপজেলার বাসিন্দারা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতির শিকার হচ্ছে দুই উপজেলার সাধারণ মানুষ। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছে প্রয়োজনীয় জনবল পাওয়া গেলে চালু করা হবে ফায়ার স্টেশনগুলো।
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলা জেলা শহরের সবচেয়ে দূরবর্তী উপজেলা। সীমান্তবর্তী এই দুই উপজেলায় প্রতি বছর অগ্নিকান্ডে কোটি কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়। পথে বসে হাজারো পরিবার। এলাকাবাসীর দাবির মুখে নির্মাণের দুই বছর পার হলেও উদ্বোধন হয়নি ওই দুই উপজেলায় নির্মিত ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। ফলে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনগুলোর জন্য আনা কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি জেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসের বারান্দায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি তদারকির অভাবে অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে ভবনগুলো।
শ্রীবরদীর কাপড় ব্যবসায়ী জামাল মিয়া বলেন , দূর্ঘটনা তো বলে কয়ে আসেনা , আগুন লাগাসহ বিভিন্ন দূর্ঘটনা হলে শেরপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের লোক আসতে আসতে আমাদের ব্যপক ক্ষতি হয়ে যায় তাই আমরা চাই সব সমস্যা সমাধান করে অবিলম্বে ফায়ার স্টেশন দুটি চালু করা হোক।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী কাচাঁবাজার সমিতির সভাপতি কুরবান আলী বলেন , আমরা যতটুকু জানি ফায়ার সার্ভিস ভবনটির কাজ শেষ অথচ চালু হচ্ছেনা তাই যত তারাতাড়ি সম্ভব ফায়ার স্টেশন টি চালু করা হোক । এতে করে আমাদের কোটি কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা হবে ।
এদিকে গণপূর্ত বিভাগ শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুর রহমান জানান , ভবন বুঝে নেয়ার জন্য শেরপুর গণপূর্ত বিভাগ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েছে কিন্তু তারা তা বুঝে নিচ্ছেনা ।
তবে এ বিষয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার সুবল চন্দ্র দেবনাথ জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব রয়েছে , প্রয়োজনীয় জনবল পাওয়া গেলেই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনগুলো চালু করা হবে
উল্লেখ্য , স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে সারা দেশে ১৫৬টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। ওই প্রকল্পের আওতায় ২০১৫ সালে শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতীতে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই ভবনগুলো নির্মাণ করা হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে শেরপুরের এই দুই উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন চালু হবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।