দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা নিশ্চিতে ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মাঠে নামিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) থেকে এসব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নেমেছেন। ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
আতিয়ার রহমান জানান, প্রতি উপজেলায় একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। তবে ১৫টির বেশি ইউনিয়ন (পৌরসভাসহ) হলে উপজেলায় দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। জেলা সদরের ‘এ’ ক্যাটাগরির পৌরসভায় একজন, তবে ৯ ওয়ার্ডের বেশি হলে দুইজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫ জন, চট্টগ্রাম সিটিতে ১০ জন, খুলনা সিটিতে ছয়জন, গাজীপুর সিটিতে চারজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়া অন্যান্য সিটি করপোরেশনে তিনজন করে ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন।
এর আগে, গত ২৩ নভেম্বর ইসির পক্ষ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৯ দিনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাঠে থাকতে বলা হয়। আচরণবিধি লঙ্ঘন বা পরিস্থিতির অবনতি হলে তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। ১৫টি পর্যন্ত ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত উপজেলায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে।
ইসির চিঠিতে কমবেশি ৮০২ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে। এতে প্রতিটি উপজেলায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে। যেসব উপজেলায় ১৫টির বেশি ইউনিয়ন রয়েছে সেখানে দুজন ম্যাজিস্ট্রেট দিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বিভাগীয় কমিশনারের পরামর্শক্রমে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) উল্লিখিত ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যার কমবেশি করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। আর ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।