মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূল পর্বে এই প্রথম খেলবে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডে আগেভাগে যাওয়া বাংলাদেশ নারী দল দশদিনের কোয়ারেন্টিন শেষে অনুশীলনে ফিরেছে। টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে আইসিসি প্রত্যেক দেশের অধিনায়ককে কলাম লেখার আমন্ত্রণ জানায়।
বৃহস্পতিবার নিজেদের বিশ্বকাপ ভাবনা তুলে ধরেন বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
আইসিসি নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলা আমাদের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বপ্নপূরণ। তিনটি টি ২০ বিশ্বকাপ খেললেও আমরা কখনো ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলিনি। তাই আমরা শিহরিত। এই বিশাল মঞ্চে পারফর্ম করতে উদগ্রীব। আমরা সুযোগের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চাই।
ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা কখনো ওয়ানডে খেলিনি। তাই এটা হবে আমাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। জানতাম একদিন তাদের বিপক্ষে আমাদের খেলতে হতে পারে। ২০১৮ সালে এশিয়া কাপে জয়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটের চেহারা পালটে যায়। এখন আমাদের নিয়ে সবার আগ্রহ বাড়ছে। গণমাধ্যমের আগ্রহও লক্ষ্য করা যায়। আমরা যখন বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলাম, পুরো জাতি খুব খুশি হয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উচ্ছ্বাস দেখে সেটা বুঝতে পারবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটপ্রেমী দেশ। এটি চাপ বাড়ায়। কিন্তু এই চাপ ভালো। তাদের জন্য ভালো কিছু করার তাগিদ অনুভব করি আমরা।
এই প্রতিযোগিতা আমাদের জন্য একটি বিশাল সুযোগ। যদি ভালো করি, অনেকেই আমাদের বিপক্ষে খেলতে আগ্রহী হবে। আমাদের দলের দুই ওপেনার মুর্শিদা খাতুন ও শারমিন আক্তার কোয়ালিফায়ারে ভালো খেলেছিল। রুমানা আহমেদ দলের প্রয়োজনে সবসময় এগিয়ে আসে। সালমা খাতুন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। বোলিং আক্রমণে আমরা একজন তরুণ ফাস্ট বোলার সুরাইয়া আজমিনকে যুক্ত করেছি, যাকে এখনো বিশ্ব ক্রিকেট খুব বেশি দেখেনি। দলে আমরা তিনজন সাবেক অধিনায়ক-সালমা, রুমানা ও জাহানারা আলমকে পেয়েছি, যারা আমাকে অনেক সহায়তা করছে।
ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে বলছি, আমাদের প্রথম বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারা আমার জন্য বিশাল সুযোগ। আমরা যদি ভালো করতে পারি, তাহলে তা হবে আমাদের সবার জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত।