শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের পাচগাঁও দক্ষিণপাড়া গ্রামের দিনমজুর আব্বাস আলীর সাড়ে ৩ বছর বয়সের শিশু আরমিনা বক পাখির ঠোকরে এখন চোঁখের আলো হারাতে বসেছে।
সম্প্রতি বক পাখির সাথে খেলতে গেলে শিশু আরমিনার বাম চোঁখের ভিতর বকটি তার ঠোট দিয়ে ঠোকর মারে। এতে তার চোঁখ থেকে অনেক রক্তক্ষরণ হয়। এখন শিশুটি চোঁখ দিয়ে কিছুই দেখতে পারে না। তখন ওই শিশুটিকে প্রথমে শেরপুর ও পরে ময়মনসিংহের চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক জানান চোঁখ অপারেশন করা হয় তবে শিশুটির চোখে দৃষ্টি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এতে প্রায় ৮০ হাজার টাকার প্রয়োজন। কিন্তু শিশুটির বাবা দিনমজুর হওয়ায় এই মোটা অংকের অর্থের ব্যবস্থা করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। শিশুর বাবা আব্বাস আলী জানান, কয়েকদিনের মধ্যেই রাজধানী ঢাকার ফার্মগেটে অবস্থিত ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু হসপাতালে শিশুটির চোখ অপারেশন করা হবে।
শিশুটির মা শেফালী বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, “আমগো তিন পুলাপান। আর এই আরমিনা হইলো সবার ছোট। অর বাপ দিন মজুরের কাম করে। এর আগে মমিসিং যাইয়া বিশ হাজারের উপর টেহা খরচ হইছে। পরীক্ষা নিরীক্ষা কইরা ডাক্তররা ঢাকা পাঠাইলে। ডাক্তার কইলো প্রায় ৮০ হাজার টেহা লাগবো। তাইলে আমার মাইয়ার চোখ বাচান যাইবো। আমরা গরীব মানুষ এতো টেহা কই পামু? এহন আপনারা একটু সাহায্য করলে আমার মাইয়ারর চোখটারে বাচাইতে পামু।”
কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি যদি শিশুটির অপারেশনের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন তাহলে হয়তো ছোট্ট শিশুটি আরমিনা এই সুন্দর পৃথিবীর সবকিছু দেখতে পেত।
সাহায্য পাঠাতে ০১৯৩৯০১৫৬৪৯ বিকাশ (পার্সোনাল) শিশুটির ফুফাতো ভাই জুয়েল মিয়া।
প্রয়োজনে মোবাইল নং :-০১৭৯১৪৪৮২১৫ (শিশুটির পিতা আব্বাস আলী/ মা শেফালী বেগম)।