শেরপুরের নালিতাবাড়ীর সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় থেকে একটি মাদি বন্যহাতির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের পানিহাটা সীমান্তের মায়াঘাঁষি এলাকা থেকে এ বন্যহাতির মৃতদেহটি উদ্ধার করে বন বিভাগ।
বনবিভাগ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে খাদ্যের সন্ধানে নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ের পানিহাটা এলাকায় বন থেকে প্রায় প্রতিদিন ৫০/৬০ টি বন্যহাতির দল লোকালয়ে নেমে এসে ফসলের ক্ষেতে হানা দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে খাবারের সন্ধানে পানিহাটা পাহাড়ি এলাকার মায়াঘাঁষি গ্রামের আমন ধান ক্ষেতে হানা দেয়। শুক্রবার ভোরে ফসলি ক্ষেতের পাশে একটি বন্যহাতির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে বন বিভাগে খবর দেয় গ্রামবাসী। পরে খবর পেয়ে ওই মৃতহাতিটিকে উদ্ধার করে বনবিভাগ। উদ্ধার হওয়া বন্যহাতিটি মাদী এবং বয়স আনুমানিক দুই বছর হয়েছে।
এদিকে, হাতিটি আসলে কি কারণে মারা গেছে তা এখনো জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের পর রিপোর্ট পাওয়া গেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান। তবে ওই মৃত হাতিটির পেট ফুলা দেখে তারা ধারনা করছেন ফুড পয়োজনিংএর কারনে মারা যেতে পারে। এই মৃত হাতিটি নিয়ে গত ১০ দিনের ব্যবধানে শেরপুরে দুইটি হাতির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটলো। এর আগে গত ৯ নভেম্বর শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা এলাকায় বৈদ্যুতিক জিআই তারে জড়িয়ে মারা যাওয়া আরেকটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল। ওই ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার ৪ জনকে আসামি করে বন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে বনবিভাগ।
বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, নালিতাবাড়ীর পানিহাটা সীমান্তের মায়াঘাঁসি এলাকায় বেশ কয়েকদিন যাবত বন্যহাতির একটি দল অবস্থান করে আসছে। শুক্রবার সকালে দিকে একটি হাতি মৃত্যুর খবর পেয়ে বন বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ ঘটনাস্থলে এসেছি। ইতোমধ্যেই হাতির শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে হাতিটিকে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে শেরপুরের বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার বলেন, প্রাথমিকভাবে দেখে মৃত্যুর সঠিক কারন বলা যাচ্ছে না। মৃত ওই হাতির শরীর থেকে আমরা নমুনা সংগ্রহ করেছি। পোস্টমর্টেমের মাধ্যমে প্রকৃত কারন জানা যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।