শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তর্তী নয়াবিল ইউনিয়নের কাটাবাড়ী এলাকার গহীন জঙ্গলে বয়স্ক ও অসুস্থ একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পাহাড়ে লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকাবাসী কাটাবাড়ি এলাকায় হাতিটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে জনপ্রতিনিধি, বনবিভাগ ও বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে ৩০ থেকে ৪০টি বন্য হাতির পাল ভারত থেকে নেমে এসে নাকুগাঁও-ডালুকোনা গ্রামে হানা দেয়। এসময় গ্রামবাসী বন্যহাতির উপস্থিতি টের পেয়ে মশাল জ্বালিয়ে ডাকঢোল বাজিয়ে হই হৈল্লার করে হাতির পালকে প্রতিরোধ করেন। পরে রাত ১টার দিকে হাতির পাল কাটাবাড়ি এলাকায় অবস্থান করে। এসময় খাদ্যের সন্ধানে হাতির পাল লোকালয়ে নামতে চাইলে গ্রামবাসী রাতজেগে হাতির পাহারায় থাকেন। শেষ রাতে প্রচন্ড বৃষ্টিতে হাতির পাল ভারতের সীমান্তের জঙ্গলের দিকে চলে যায়। সোমবার সকালে গ্রামবাসী লাকড়ি সংগ্রহে পাহাড়ে গেলে কাটাবাড়ি এলাকায় একটি বয়স্ক হাতিকে মৃত্য অবস্থায় দেখতে পান। পরে জনপ্রতিনিধি, বনবিভাগ ও বিজিবিকে বিষয়টি অবগত করা হয়।
নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়রম্যান মো. ইউনুছ আলী দেওয়ান বলেন, কাটাবাড়ী এলাকার আজ সোমবার একটি বয়স্ক হাতিকে মৃত্য অবস্থায় এলাকাবাসী দেখতে পান। পরে খবর দিলে আমি মৃত্য হাতিটি দেখতে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছে গতরাতে হাতির পাল ফিরে যাওয়ার সময় অসুস্থতা জনিত কারনে বয়স্ক এই হাতিটি যেতে পারেনি। অসুস্থজনিত কারণে হাতিটি মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জকর্মকর্তা মো.আব্দুল করিম বলেন, বন্যহাতিটির শরীরের বাম পাশে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তবে হাতিটি বয়স্ক ও অসুস্থ ছিল। সেই কারণে মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তিনি বলেন, জেলা বন্যপ্রাণি কার্যালয়, বনবিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খবর জানানো হয়েছে। তাছাড়া ময়নাতদন্তের পর হাতিটির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ময়নাতদন্তের পর মৃত হাতিটিকে মাটিচাপা দেয়া হবে।