শেরপুরের নালিতাবাড়ীর সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের গারো, কোচ ও হাজং উপজাতি পল্লীতে শনিবার (৪ এপ্রিল) সকালে মাস্ক সাবান ও মরণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরন করা হয়েছে।
বারমারী খ্রিস্টান মিশন, ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশন ও কারিতাস ময়মনসিংহ অঞ্চলের নিজস্ব অর্থায়নে এসব সামগ্রী বিতরন করা হয়। এসবের মাঝে ছিল ১৭০টি মাস্ক, ২৫০টি সাবান এবং সচেতনতামুলক লিফলেট। বারমারী খ্রিস্টান ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত রেভারেন্ট ফাদার মনিন্দ্র মাইকেল চিরান আন্ধারুপাড়া গারো পল্লীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব সামগ্রী বিতরনের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বারমারী ক্যাথলিক প্যারিস কাউন্সিলের সাধারন সম্পাদক মি. জন মাংসাং, গ্রাম মাতব্বর রবিন রাকসাম, সুবল ম্রং, পিন্টু নেংমিনজা প্রমুখ।
পরে ট্রাইবাল চেয়ারম্যান মি. লুইস নেংমিনজার নেতৃত্বে উপজেলার সমেশ্চুড়া, খলচান্দা, আন্ধারুপাড়া ও ডালুকোনা গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিনব্যাপী এসব সামগ্রী বিতরন করেন। এসময় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন অলি জেংচাম, লোপা জেংচাম, পুজা মাংসাং, রিতু চাম্বুগং ও দিব্য চাম্বুগং প্রমুখ।
ট্রাইবাল চেয়ারম্যান মি. লুইস নেংমিনজা জানান, বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের আক্রমনে মরণ ছোঁবল সম্পর্কে উপজাতি সম্প্রদায়ের কোন ধারনাই নেই। তাই তাদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মাস্ক পরিধান করা, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা এবং অধিক সুরক্ষার জন্য নিজ বাড়িতে অবস্থান করা সম্পর্কে ধারনা দিতে লিফলেট, সাবান ও মাস্ক বিতরন করা হচ্ছে। তিনি জানান, এই সহায়তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। তাছাড়া খাওয়ার জন্য কিছু দিয়ে কোন প্রকার সহযোগিতা করতে পারছিনা। ঘরে বসে থাকা উপজাতিরা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের চালও পাইনি। এমনকি এ পর্যন্ত কোন প্রকার সরকারী সহায়তা উপজাতিরা পাচ্ছে না। এখানকার অধিকাংশ উপজাতি পরিবারগুলো দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করেন। তাই তিনি উপজাতিদের জন্য সরকারী সহায়তা পাওয়ার দাবী জানান।