শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের আদিবাসী পল্লী পানিহাটা গ্রামের ৫১টি পরিবারের প্রায় সাড়ে তিনশত শ্রমজীবী মানুষ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের কারনে কর্মহীন হয়ে ঘরে আবদ্ধ হয়ে পড়েছেন।করোনায় সৃষ্ট এমন অচলাবস্থার এক সপ্তাহ পার হলেও সরকারীভাবে এ এলাকায় তেমন কোন ত্রান সামগ্রী এখনও পৌছায়নি। কর্মহীন হয়ে পড়ে বাড়িতে বসে থাকা অসহায় গরিবদের মাঝে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, নালিতাবাড়ী হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সরকার তার নিজ তহবিল থেকে ওইগারো আদিবাসী গ্রামে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন। এতে একশত মানুষের মাঝে তিনি জন প্রতি দুইশত করে নগদ টাকা বিতরন করেন।
শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সাংসদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর নির্দেশনায় শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার পানিহাটা গ্রামের অসহায় গারো সম্প্রদায়ের প্রায় একশত মানুষের মাঝে এ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পানিহাটা পাদ্রী মিশনের ফাদার ডেভিড মৃধা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রচার সম্পাদক পুতীন মানকীন, পানিহাটা মিশনের আদিবাসীদের গ্রাম প্রধান প্রবীন মানকীন, আদিবাসী নেত্রী নীলা কুবি প্রমুখ।
এ প্রসংঙ্গে গোপাল চন্দ্র সরকার বলেন বর্তমানে সারাবিশ্ব তথা বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি। তাই এর মরন থাবা থেকে বাচতে হলে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখা এবং ঘরে বসে থাকা ছাড়া কোন উপায় নেই। এসময় কর্মহীন দরিদ্র মানুষের পাশে দাড়ানো আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।