শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের পিছলাকুড়ি গ্রামে সাড়ে ১৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণাধীন মরিচপুরান টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ভবনের ঠিকাদারের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী। দাবী পূরণ না করায় তমা কন্সট্রাকশন অ্যান্ড কোম্পানী লিমিটেড নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. শাজাহান ও ফোরম্যান সুজনকে বেদম মারধর করেছে তারা। এ ঘটনায় চাদা দাবীর অভিযোগে রোববার (১৬ জুন) সকালে নালিতাবাড়ী থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভোগাইপাড় গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৮) ও উত্তর কোন্নগর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে বেলায়েত হোসেন (৩০) কে গ্রেফতার করে শেরপুর আদালতে সোপর্দ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে সূত্র জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী ওই গ্রামে শিক্ষিত বেকার যুবক/যুবতীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর নিজের টিআর/কাবিটার অর্থ দিয়ে ৭ একর জমিতে মাটিভরাট করে ওই কলেজের কাজ শুরু করেন। কিন্তু কাজ শুরুর পর থেকেই ঠিকাদারের কাছে স্থানীয় ফারুক হোসেন ওরফে জামাই ফারুক, বিল্লাল হোসেন, সম্রাট, বেলায়েত হোসেন, জয়নদ্দিন ও সাইফুল ইসলামসহ একটি গ্রুপ বালু কেনার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চাপ দিতে শুরু করে। এ দাবীতে মাঝে মধ্যেই তারা কাজ বন্ধ করে দিত।
মরিচপুরান ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার শফিক আহাম্মেদ বলেন, এদের অত্যাচারে ঠিকাদার অতিষ্ঠ হয়ে কয়েক বার কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে আমি বুঝিয়ে শুনিয়ে কাজ শুরু করে দেই। উপজেলা নির্বাচনের পর স্বতন্ত্র প্রার্থী পাস করলে এদের চাপ আরও বেড়ে যায়। স¤্রাট ও সাইফুল কিছুদিন ধরে ফারুক বিল্লালদের সাথে জোট করে ঠিকাদারের ম্যানেজার শাজাহানকে অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে বলে আসছিল “হয় বালু নিবি, নইলে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে।” ওই প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় শনিবার বিকেলে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর চড়াও হয়। নির্মাণাধীন ভবনের সামনে ঠিকাদারের অফিসে ঢুকে তারা দুই কর্মচারীকে বেদম মারধর করে। এতে তারা আহত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার শাহজাহান আলী চাঁদা দাবীর অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন। দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। রোববার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।