শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলাতে এক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিশু তানজিল শরিফ স্বরণ (৬) ৬ দিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অর্থাভাবে ছেলে কে বাঁচানোর জন্য দরিদ্র অটো রিকশা চালক বাবা শরিফুল ইসলাম দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। আহত স্বরণ পৌর শহরের গড়কান্দা এলাকার বাসিন্দা ও সেঁজুতি বিদ্যা নিকেতনের নার্সারি শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
আহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ মে স্বরণের বাবা ও মা ব্যাক্তিগত কাজে শেরপুরে যান। সেই সুযোগে স্বরণকে নিয়ে তার বড় ভাই ৪র্থ শ্রেণী পড়–য়া শিক্ষার্থী লিখন বাবার অটো রিকশা চালিয়ে নয়াবিল বেড়াতে যান। নয়াবিল থেকে বাসায় ফেরার পথে স্লুইচগেইট এলাকায় তাদের অটো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ফলে বড় ভাই লিখন সামান্য আহত হলেও স্বরণ গুরুতর আহত হয়।
পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেরা স্বাস্থ্য কমপ্ল´ে নিয়ে আসে। দায়িত্বরত চিকিৎসক লিখন কে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দিলেও স্বরণ কে গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। সেখানে থেকেও ওই রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে প্রেরণ করা হয়। ওই ঘটনায় স্বরণের বাম হাত, বুকের পাজর, বেশ কয়েকটি দাঁত, পা‘র বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে যায়। তাছাড়া মাথার মগজে আঘাত লাগে।
স্বরণের চিকিৎসার জন্য তার দরিদ্র বাবা এখন পর্যন্ত ৭০-৮০ হাজার টাকা ব্যায় করেছেন। তাকে সুস্থ করার জন্য কয়েক লাখ টাকা প্রয়োজন বলে জানা গেছে। কিন্তু সামান্য আটো রিকশা চালক বাবর পক্ষে এতো টাকা দিয়ে ছেলে কে চিকিৎসা করানো কখনোই সম্ভব নয়। তাই বাবা শরিফুল ইসলাম দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অপরদিকে ছেলে শোকে মা লাবনি বেগম বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন।
স্বরণের শিক্ষক সেঁজুতি বিদ্যা নিকেতনের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান বলেন, স্বরণ খুব মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। এবছর নার্সারী শ্রেণীতে ২য় সাময়িক পরিক্ষায় ২য় স্থান অর্জন করেছিল। তবে অর্থের অভাবে মেধাবী এই শিক্ষার্থী অকালে ঝরে যাবে, তা মেনে নিতে পারছি না। তাই সকলের সাহায্য কামনা করছি।
স্বরণের বাবা শরিফুল ইসলাম বলেন, ছেলেকে সুস্থ করার জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। যা আমার মতো সামান্য একজন অটো রিকশা চালকের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু আমি এখন কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।