শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার যোগানীয়া ইউনিয়নের বাথুয়ারকান্দা গ্রামের সড়কটি সামান্য বৃষ্টির পানিতেই বেহাল হয়ে পড়ে। কাদায় ভরে যায় সড়কটি। তখন ওই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকার সব শ্রেণি পেশার মানুষের।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার যোগানীয়া ইউনিয়নের বাথুয়ারকান্দা গ্রামে যাওয়ার সড়কটি যুগ যুগ ধরে কাঁচা। এ সড়ক দিয়ে বাথুয়ারকান্দা, ঘুড়ামারা, কুত্তামারা, ঘরাকুড়া গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। শুধু তাই নয়, বাথুয়ারকান্দা গ্রামে একটি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে সমস্যা হয়।
সামান্য বৃষ্টি হলেই বাথুয়ারকান্দা গ্রামের আলমাছের বাড়ি থেকে আলী আকবরের বাড়ি পর্যন্ত সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এসময় সড়কটি কাঁদাময় হয়ে যায়। ফলে রিকশা, ঠেলাগাড়ী, ভ্যান, মোটরসাইকেল কাদায় দেবে যায়।
এছাড়া সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়ে কৃষকরা। রাস্তার বেহাল দশার কারণে কৃষকরা গাড়ীতে করে ধান বাজারে বিক্রি করতে আনতে পারেন না। ফলে কেউ কেউ বাধ্য হয়েই মাথায় করে ধান নিয়ে যান।
সামান্য বৃষ্টির কারণে আলমাছের বাড়ি থেকে আলী আকবরের বাড়ি পযন্ত সড়কটি কাদাময় হয়ে গেছে। ফলে কোন যানবাহন নিয়ে মানুষ গ্রামে ডুকতে পারছেন না। তবে বৃষ্টি না থাকলে রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল নিয়ে যাতায়াত করা যায়। কিন্তু সড়কটি পাকা না হওয়ায় অন্যান্য যানবাহন নিয়ে যাওয়া যায় না। তাই এলাকাবাসী সড়কটি দ্রুত পাকা করার দাবি জানিয়েছেন।
একই গ্রামের শিক্ষার্থী বিল্লাল হোসেন বলেন, আমাদের গ্রামের রাস্তা ঘাটের বেহাল দশার কারণে শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে সমস্যা হয়। শুধু তাই নয়, রাস্তার সমস্যার কারণে কেউ সহজে বিয়েও দিতে চায় না। রাস্তাটা দ্রুত পাকা করা দরকার।
বাথুয়ারকান্দা গ্রামের আরেক বাসিন্দা শাহজাহান সাজু বলেন, ভোটের সব সবাই প্রতিশ্রুতি দেয় রাস্তাটা পাকা করে দিবে। কিন্তু পাস করে ফেললে পরে আর কেউ খোঁজ নেয় না।
এ বিষয়ে যোগানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আমির হোসেন বলেন, এই সড়কের জন্য বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে এলাকাবাসী দারুণ কষ্ট করেন। বৃষ্টি হলে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা যায় না। মানুষের কষ্ট হয়। সড়কের টেন্ডার হয়েছেন বলে শুনেছেন। তিনিও দ্রুত সড়কটি পাকা করার কাজ শুরু করার দাবি জানান।