শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে খালভাঙ্গা গ্রামের সুনাম ও দাতা পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন এবং মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২০ জুন) দুপুরে খালভাঙ্গা গ্রামের জনসাধারণের ব্যানারে খালভাঙ্গা এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
খালভাঙ্গা ঈদগাহ ও কবরস্থান কমিটির বর্তমান সভাপতি রকিবুল হাসান রানার সভাপতিত্বে এসময় সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুসা কলিমুল্লাহ, নজরুল ইসলাম, রজব আলী লেবু, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রেফাজ উদ্দিন মাস্টারসহ স্থানীয় গন্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এতে জানানো হয়, খালভাঙ্গা ঈদগাহ ও কবরস্থান কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রায় সাত বছর অতিক্রম হলে এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সাবেক কমিটির নেতৃবৃন্দ মেয়াদোত্তীর্ণ ওই কমিটি ভেঙে দেন। একই বৈঠকে এলাকাবাসীর উপস্থিতি এবং মতামতের ভিত্তিতে রকিবুল হাসান রানাকে সভাপতি এবং আব্দুল হালিম মাস্টারকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট নয়া কমিটি গঠন করা হয়। নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের পর ঈদগাহ এর অসমাপ্ত গেইট নির্মাণ, মেহরাব নির্মাণ, ঈদের নামাজের জন্য নতুন তিনটি কাতারসহ আনুসাঙ্গিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেন। প্রায় লাখ টাকা ব্যয়ে এসব কাজের মধ্যে ৭৫ হাজার টাকা সভাপতির আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে এবং বাকী টাকা কমিটির লোকজন চাঁদা তুলে আঞ্জাম দেন।
এছাড়াও কবরস্থানে মাটি ভরাট ও কবরস্থান মাঝ বরাবর রাস্তা নির্মাণ করে ল্যাম্প পোস্ট স্থাপনের পরিকল্পনাও করেন নতুন কমিটি।
এদিকে, পুরনো কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সদস্য আনোয়ার হোসেন ও নজরুল ইসলামসহ কতিপয় এলাকাবাসী নতুন কমিটিকে না জানিয়ে কবরস্থানে সামনের অংশে নদী সংলগ্ন রাস্তার পাশে থাকা পাকা বাউন্ডারি ভেঙে নতুন করে গেইট নির্মাণ ও রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করেন। এমতাবস্থায় বিষয়টি নিয়ে নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে দ্বন্দ্ব তৈরি হলে একপর্যায়ে আইনের আশ্রয় নিয়ে বিষয়টি আটকে দেওয়া হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরনো কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলামসহ অন্যরা গত ১৮ জুন শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে ভুল তথ্য পরিবেশন করে বর্তমান কমিটির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে ও দাতা পরিবারে প্রতি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বর্তমান কমিটি, গ্রামের সুনাম ক্ষুন্ন ও দাতা পরিবারের সম্মান নষ্টের শামিল বলে দাবী করা হয় পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে।
এ বিষয়ে পুরনো কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুসা কলিমুল্লাহ বলেন, এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে লিখিত নোটিশ করে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে সকলের মতামতের ভিত্তিতে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি করে দেওয়া হয়। এখন যে কোন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নতুন কমিটি করার কথা। কিন্তু পুরনো কমিটি যা বহাল নেই, তাদের কতিপয় লোক এসে বর্তমান কমিটির কাউকে জানিয়ে একতরফাভাবে বাউন্ডারি ভেঙে যে উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে তা নিয়মের বাইরে।
এসময় তিনি দাতা পরিবারের সদস্য রমজান আলী কর্তৃক টাকা আত্মসাতের বিষয়টি সঠিক নয় দাবী করে বলেন, তৎকালীন সময়ে প্রাপ্ত একটন টিআর এর মোট ১৮ হাজার টাকার মধ্যে ৮ হাজার টাকায় রমজান আলী ঈদগাহ মাঠের সামনে থাকা নদী তীরবর্তী রাস্তায় মাটি কাটার কাজ বাস্তবায়ন করেন। বাকী ১০ হাজার টাকা আমাদের সময়ে আমাদের হাতে সরাসরি জমা দিয়েছেন। কাজেই আত্মসাতের অভিযোগ সঠিক নয়।