শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ১৩ বছর বয়সী চাচাতো শ্যালিকাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে কারাগারে গেল ইয়াসিন আলী নামে এক দুলাভাই। তার বাড়ি উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের উত্তর পলাশীকুড়া গ্রামে। মঙ্গলবার (৩০ জুন) থানা পুলিশের মাধ্যমে তাকে আদালতে সোপর্দ করার পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর পলাশীকুড়া গ্রামের আব্দুল খালেক এর পুত্র ইয়াসিন আলী (৩৪) নালিতাবাড়ী পৌর শহরের ছিটপাড়া মহলায় বিয়ে করেন। শ্বশুর বাড়িতে যাতায়াতের সুবাধে সে তার ১৩ বছর বয়সী চাচাতো শ্যালিকার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে গত ১২ জুন রাতে ছিটপাড়া মহলায় শ্বশুড় বাড়ি থেকে ওই শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায় ইয়াসিন। এ ঘটনায় মেয়ের সন্ধান চেয়ে কিশোরীর পিতা নালিতাবাড়ী থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে গতকাল সোমবার (২৯ জুন) গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে থানা পুলিশের এসআই জহুরুল হক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রসিক ভাগ্নিপতি ইয়াসিনকে আটক ও শ্যালিকাকে উদ্ধার করে রাতেই নালিতাবাড়ী নিয়ে আসেন। এ সময় ইয়াসিন জানায়, সে শ্যালিকার সাথে কোর্ট ম্যারেজ করে বিয়ে করে নিয়েছেন। কিন্তু বিপত্তি বাঁধায় কিশোরী শ্যালিকা। সে বলে বুঝতে না পেরে দুলাভাইয়ের কথায় ফেঁসে গেছে। ফলে রাতেই ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা করে মঙ্গলবার ইয়াসিনকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। একইসঙ্গে কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দির জন্য শেরপুর প্রেরণ করা হয়েছে।
নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইয়াসিনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।