পৌষ ও মাঘ মাস শীতকাল হলেও এবার শীতকালের আগেই অগ্রহায়নের শুরু থেকেই শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। যতই দিন যাচ্ছে আর শীতের তীব্রতা বাড়ছে। দিনের বেলায় হিমেল হাওয়া আর দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেই জেঁকে বসে শীত। আগাম শীতে বৃদ্ধ, শিশু, ছিন্নমুল, গরবীব-অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছে বিপাকে। তবে উচ্চ ও মধ্যবিত্তের মানুষেরা শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে লেপ তোষক এবং গরম কাপড় কেনার জন্য দোকানপাট গুলোতে ভীড় জমাচ্ছেন। কেউবা আবার খড়-কুটা পুড়িয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় পলাশীকুড়া গ্রামের বাসিন্দা ফজলুল হক বলেন, নালিতাবাড়ী উপজেলাটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তঘেষা হওয়ায় এখানে হিমালয় পর্বতের হিমবায়ু প্রবাহিত হয়। যে কারনে এবার শীত মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই ঠান্ডা বাড়ছে। এতে অনেকেই জ্বর-সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেক গরীব অসহায় মানুষ ঠান্ডা নিবারনের জন্য পুরাতন শীতের কাপড় পড়ছেন।
শীতের কাপড় ব্যবসায়ী মায়ের দোয়া ফ্যাশনের স্বত্তাধিকারী মানিক মিয়া বলেন, শীত মৌসুমের আগেই আমি এক চালান শীতের কাপড় এনেছিলাম এখন পর্যন্ত অর্ধেক কাপড় বিক্রি হয়ে গেছে। আবারও শীতের কাপড় আনার জন্য ঢাকায় যেতে হবে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ডাক্তার মামুন বলেন, ইতোমধ্যেই বেশ শীত পড়েছে। এখনো ঠান্ডা বা শীত জনিত কারনে হাসপাতালে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী ভর্তি হচ্ছেনা। তবে নিউমোনিয়া ও ঠান্ডাজনিত কারনে শিশুরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।