শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে শিশু গৃহকর্মীকে (১২) ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক গৃহকর্তা হারুনুর রশিদকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। টানা অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে হারুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। হারুন কাঁকরকান্দি ইউনিয়নের ঘাইলারা গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান। দুপুরে ধর্ষক হারুনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। একইদিন জেলা সদর হাসপাতালে ৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে ধর্ষিতা কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, নালিতাবাড়ী উপজেলার গাছগড়া গ্রামের এক হতদরিদ্র দিনমজুরের কিশোরী মেয়ে পেটের দায়ে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে হারনুর রশিদের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ নেয়। ৩ মাস কাজ করার পর একদিন রাতের বেলায় লম্পট হারুন কিশোরীর শোবার ঘরে গিয়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর একইভাবে গত এক মাসে হারুন ওই গৃহকর্মীকে কয়েকবার ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মধ্যস্থতায় ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় ভিকটিমকে অজ্ঞাতস্থানে আটক করে রাখে। বিষয়টি জানাজানির এক পর্যায়ে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের নজরে এলে তিনি তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করেন। বুধবার সকালে পার্শ্ববর্তী হালুয়াঘাট উপজেলার রণকুঠুরা গ্রামে হারুনের ফুফাতো ভাই জাহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ধর্ষিতা কিশোরীকে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষক হারুনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর ওই ঘটনায় জড়িত, আলামত নষ্টের চেষ্টা ও ভিকটিমকে সরিয়ে রাখার অভিযোগে আশ্রয়দাতা জাহিদুল ও অভিযুক্তের বড় ভাই সাবেক ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম ও হাসমত আলীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানের এক পর্যায়ে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান আসামি ধর্ষক হারুনকে।
প্রেস ব্রিফিংকালে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ বিলাল হোসেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম, ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান, নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদলসহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।