শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী বাজারের নবজাগরণ একাডেমির শিক্ষক শিক্ষার্থীরা একাডেমি বন্ধ থাকায় দরিদ্র অসহায় কৃষকের ধান কেটে দেয়া ” কৃষক সহায়তা” কর্মসুচী গ্রহন করেছেন। তারই অংশ হিসেবে শনিবার (৯ মে) দ্বিতীয় দিনের কর্মসুচী পালন করেন তারা।
এ ধান কাটা কর্মসুচীর দ্বিতীয় দিনে নন্নী এলাকার জৈনক এক বিধবা মহিলার ৩৫ শতাংশ জমির ধান কেটে দিয়েছেন। ওই বিধবা জানান শিক্ষক শিক্ষার্থীরা মিলে আমার ধান কেটে দেয়ায় আমার খুব উপকার হয়েছে। আমার ধান কাটার সামর্থ্য ছিল না।
একাডেমির প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, দেশে করোনা ভাইরাসের মহামারি চলছে। তাই খাদ্য সংকট মোকাবেলা করতে সরকার ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দরিদ্র অসহায় মানুষ এবং কৃষকের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করছেন। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা হয়তো ওইটুক সহযোগিতা করতে পারবো না। তবে বর্তমানে একাডেমি বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা শিক্ষকরা সাথে থেকে অস্বচ্ছল ও দরিদ্র প্রান্তীক কৃষকের বোরোধান কেটে তাদেরকে সহযোগিতা করতে পারি। সেই মানবিক চেতনা থেকেই আমরা কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছি। গতকাল শুক্রবার ও শনিবার কৃষকের ধান কেটে দিয়েছি এবং আমাদের নবজাগরণ পরিবার থেকে এই কর্মসুচী অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আহবান জানিয়ে আরো বলেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের মহামারির এই সংকটাপন্ন দিনে যার যার অবস্থান থেকে আপনারাও এগিয়ে আসুন অসহায়দের পাশে দাড়ান।