শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সাবেক স্ত্রী ও একজন পুলিশ কর্মকর্তার ষড়যন্ত্রে মিথ্যা মামলা, পুলিশি হয়রানী এবং মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে ব্রেন স্ট্রোক করে স্বামী মারা গেছেন বলে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রূপালী ইয়াসমিন নামে এক বিধবা নারী। একইসাথে তাকেসহ স্বামীর স্বজনদের জড়িয়ে মিথ্যা মামলা ও নানা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নালিতাবাড়ী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ব্যবসায়ী মৃত শফিকুল ইসলামের স্ত্রী রূপালী ইয়াসমিন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
এসময় লিখিত বক্তব্যে রূপালী বলেন, শফিকুল ইসলামের সাবেক স্ত্রী মমতাজ বেগম ও আমার সাবেক স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা সবুর উদ্দিন মিলে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক নারীকে দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের, পুলিশি হয়রানি ও ছবিসহ লিফলেট বিতরণ করে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। ফলে পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়ানো আমার স্বামী ব্রেন স্ট্রোক করে প্রথমে ময়মনসিংহ ও পরে রাজধানীর সুমনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৯ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন। তিনি আরোও বলেন, ওই মৃত্যুর ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহ করে উল্টো আমাকে এবং আমার স্বামীর ভগ্নিপতিসহ চারজনকে হত্যাকারী বানিয়ে আদালতে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে সাবেক স্ত্রী মমতাজ। এর আগে শফিকুল ইসলামের মৃত্যুকে হত্যার অভিযোগ এনে গত ১০ আগষ্ট ভগ্নিপতি তোফাজ্জল, ব্যবসায়িক সহযোগী হাসু এবং রূপালী ও মুর্শিদাসহ ৪ জনকে আসামী করে শফিকুলের মেয়ের পক্ষে তাঁর মা বাদি হয়ে শেরপুর আদালতে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন নালিতাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সায়েদুর রহমান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সায়েদুর রহমান বলেন, আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নালিতাবাড়ী থানায় পাঠানো হয়েছে। মামলাটির তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।