শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ভিজিএফের চাল কেলেংকারীর ঘটনায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দায়েরকৃত মামলার পুণঃতদন্তের দাবীতে শহরের তারাগঞ্জ দক্ষিণ বাজারের এএনবি কার্যালয়ে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ৩০ জুলাই উপজেলার যোগানীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সরকারীভাবে দুঃস্থদের মাঝে তালিকা ভিত্তিক ভিজিএফের চাল বিতরণ চলছিল। এমতাবস্থায় কালো বাজারে চাল বিক্রি, মজুদ ও পাচারের খবর পেয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান সেখানে গিয়ে পুলিশী সহযোগীতায় যোগানিয়া ইউনিয়নের জমশেদ আলী পান্তার বাড়ি ও কাপাশিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম কক্ষ থেকে ভিজিএফের ১ হাজার ৬৬০ কেজি চাল উদ্ধার করেন।
পরে এ ঘটনায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দল হান্নান বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় ১০ জনকে আসামী করে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২৯৯। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, নালিতাবাড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহীন সরকার সঠিক তদন্ত না করেই আসামী ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ, আব্দুল হালিম ও জমশেদ আলীকে অত্র মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে ওই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমীর হোসেন, ইউপি সদস্য লাভলী বেগম, মোস্তফা কামাল, সাবেক ইউপি সদস্য চাঁন মিয়া, স্থানীয় সাদেক আলী, মোতালেব হোসেন ও ইউডিসি উদ্যোক্তা শেখ ফরিদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। সংবাদ সম্মেলনে সাবেক ইউপি সদস্য চাঁন মিয়া, শেখ ফরিদ ও মোতালেব হোসেন নিজেদের নির্দোষ দাবী করে মামলাটি পুণঃতদন্তের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, ১০ জনের নামে মামলা রুজু হওয়ার পর এসআই শাহীন সরকারকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের নামেই চার্জশীট দেওয়া হয়েছে।