শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের আন্ধারুপাড়া গ্রামে গত ১৪ নভেম্বর এক নাবালিকা কনের বিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই বাল্য বিয়ের ঘটনায় বরের পিতা ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নুর ইসলাম বাদী হয়ে গত ১৭ নভেম্বর শেরপুরের সি, আর আমলী আদালতে বিয়ে পড়ানো ওই মাওলানাসহ ১২ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, উপজেলার বুরুঙ্গা গ্রামের ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নুর ইসলামের নাবালক ছেলে রমজান আলীকে ঘটনার দিন ওই নাবালিকা কন্যা ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী প্রেমের সুত্রধরে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সে বিয়েতে রাজী না হলে একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার স্বজনদের উপস্থিতিতে মাওলানা জুবায়ের হোসেনকে দিয়ে আন্ধারুপাড়া গ্রামের লিয়াকতের বাড়িতে বিয়ে পড়ায়। বিয়ের পর থেকে বর কনে একই বাড়িতে অবস্থান করছে। এই বিয়ের পর নিজ ছেলেকে উদ্ধারের জন্য আবেদন জানিয়ে নুর ইসলাম বাদী হয়ে শেরপুর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে, স্থানীয় হোসেন আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রত্যয়ন সুত্রে জানা গেছে, ওই নাবালিকার জন্ম তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০০৭ সাল। সেই হিসেবে কনের বয়স হয় ১২ বছর ৬ মাস। আপরদিকে, বরের জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ৪ মার্চ ১৯৯৯ সাল। এতে বরের বয়স হয় ২০ বছর ৮ মাস। বর কনের বাল্য বিয়ে দেয়ায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
বরের পিতা নুর ইসলাম মেম্বার বলেন, আমার নাবালক ছেলেকে ফোনে ডেকে নিয়ে জোড় করে বিয়ে দিয়েছে। এই বিয়েতে আমার কোন মত নেই। বর কনে উভয়েই প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত আমি এই বিয়ে মেনে নিব না।
কনের স্বজন শমসের আলী জানান, বর কনে ১ বছর ৭ মাস যাবত প্রেম করে আসছিল। ছেলের সম্মতিইে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন মোহর ধার্য করে বিয়ে পড়ানো হয়েছে। তবে বর রমজান আলী জানায় এই বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট পোড়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আজাদ মিয়া বলেন, আমি উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।