শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে কারণে দুই কোটি ৯৪ লাখ টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করতে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে কলসপাড় ইউনিয়নের দুই হাজার ২৮০ হেক্টর ও যোগানিয় ইউনিয়নের তিন হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়।
গত ২২ এপ্রিল উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি ও ভারি বর্ষণের কারণে মালিঝি ও চেল্লাখালী নদীর দিয়ে পানি ঢুকে কলসপাড়া ইউনিয়নের উত্তর,দক্ষিণ,মধ্য নাকশি ও গাগলাজানি গ্রামের এক হাজার ২০০ একর ও যোগানিয়া ইউনিয়নের ৫০০একর ফসল ডুবে যায়। এই সব ফসল ৮ থেকে ১০ দিন পানির নিচে ছিলো। বর্তমানে নদীতে ঢলের পানি কমে যাওয়ায় ও কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি না থাকায় এই সব এলাকার অধিকাংশ জমি থেকে পানি নেমে গেছে। কৃষি কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী দুটি ইউনিয়নে ২৫০ একর জমির ফসল সম্পূর্ন ও ৭৫০ একর জমির ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দুই কোটি ৯৪ লাখ টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মো.শরিফ ইকবাল বলেন, উপজেলায় যোগানিয়া ও কলসপাড়া ইউনিয়ন,বাঘবেড় ও মরিচপুর ইউনিয়নের আংশিক তোলনামুলক নিচু এলাকা। তাই পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণের পানিতে ফসল ডুবে গিয়ে ছিলো। এতে দুটি ইউনিয়নের দুই কোটি ৯৪ লাখ টাকার ফসল বিনষ্ট হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দায়িত্বে থাকা সহাকারী কমিশনার(ভূমি) জাহিদুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করতে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের বলা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী সরকারী ভাবে তাঁদের কে সহায়তা করা হবে।