শেরপুরে নালিতাবাড়ীর এক প্রতিবন্ধি কিশোরীকে (১৪) জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে মফিজ উদ্দিন (৩৬) নামে একব্যক্তিকে যাবজ্জীন সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। ২৮ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন আসামীর উপস্থিতিতে এ সাজার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে একইসাথে আদালত ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ঘোষনা করে সেই টাকা আদায় করে ভিকটিমকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত মফিজ উদ্দিন নালিতাবাড়ী উপজেলার সিধুলি গ্রামের মৃত মন্তাজ উদ্দিনের ছেলে।
নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, নালিতাবাড়ী উপজেলার কয়রাকুড়ি গ্রামের ভিকটিম শারিরীক প্রতিবন্ধি কিশোরীর বাবা-মা ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করেন। এ কারণে ওই ভিকটিম নিজবাড়ীতে দাদীর কাছে থাকতেন।
২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় দাদী ফিরোজা বেগম বাড়ীর পাশের পুকুরে গোসল করতে গেলে বাড়ীর পাশের পানিসেচ মেশিনের পাম্পচালক মফিজ উদ্দিন তাদের বসতঘরে প্রবেশ করে শারিরীক প্রতিবন্ধি কিশোরীকে জোরপূর্বক ঘর থেকে তুলে নেয়। পরে বাড়ীর পাশের বাঁশঝাড়ের নীচ নিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষন করে। গোসল সেরে ফিরোজা বেগম ঘরে নাতিকে না পেয়ে ডাকচিৎকার শুরু করলে ধর্ষক মফিজ উদ্দিন পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ধর্ষক মফিজ উদ্দিনকে একমাত্র আসামী করে দাদী ফিরোজা বেগম নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করলে তদন্ত কর্মকর্তা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধিত) ৯(১) ধারায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ৯ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার একমাত্র অভিযুক্ত মফিজ উদ্দিনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ঘোষনা করেন।