তীব্র খরতাপে পুড়ছে নগরজীবন। চৈত্রের রৌদ্রদগ্ধ দিন জানান দিচ্ছে দরজায় কড়া নাড়ছে পহেলা বৈশাখ। আর সেই উৎসবকে ঘিরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শেরপুরের নালিতাবাড়ীর পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরা। তৈরি হচ্ছে মাটির খেলনাসহ, বিভিন্ন তৈজসপত্র।
বাঙ্গালী জাতির অন্যতম ঐতিহ্য মৃৎ শিল্প। এই শিল্পের চাহিদা বছরের অন্যসব সময়ে না থাকলেও প্রহলে বৈশাখে মাটির তৈরি জিনিস পত্র ছাড়া যে চলেই না। তাই অন্যান্য সময়ের চেয়ে একটু বেশিই ব্যস্ত সময় পাড় করতে হচ্ছে মৃৎশল্পীদের।
পাল পাড়ায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মৃৎশিল্পীরা গড়ছেন মাটির গাছ, পাখি, ফুল, ফুলের টপ, ফলমূলসহ বিভিন্ন বাসন কোসন। তারা মনের মাধুরী মিশিয়ে বিভিন্ন মাটির তৈরির খেলনার আকৃতি দিচ্ছেন।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী পাল পাড়ায় প্রায় ৫০টি পরিবার বসবাস করে। তাদের অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। তবে কেউ কেউ ঐতিহ্য কে আকরে ধরে আছেন এখনো।
এই শিল্পের প্রধান উপকরণ মাটি। তাই মৃৎশিল্পীরা বিভিন্ন নদী থেকে মাটি সংগ্রহ করেন। চাকার মাধ্যমে মাটি কে বিভিন্ন আকৃতি দেওয়া হয়। তারপর সেই মাটির জিনিস পত্রগুলো আগুনে পুড়িয়ে শক্ত করা হয়। মৃৎশিল্পীরা জানান, বাসন কোশনের চেয়ে খেলনা সামগ্রীর চাহিদা অনেক বেশি। বিভিন্ন মেলা, ঈদ, পূজাসহ বিভিন্ন উৎসবে এসব পণ্য বেশি বিক্রি হয়ে থাকে।
পাল পাড়ার বাসিন্দা শ্রীমতী রাণী পাল বলেন, আমাদের এখন দিন রাত কাজ করতে হচ্ছে। এই পহেলা বৈশাখেই আমাদের বিক্রি সবচেয়ে বেশি হয়।
জীবন পাল বলেন, বর্তমানে মাটির জিনিস পত্রের কদর কমে গেছে। তবে পহেলা বৈশাখে একটু কদর বাড়ে।
শেরপুরের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সম্ভাবনার ভিডিও খবর দেখুন এখানে ক্লিক করুন