শেরপুরের নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও স্থলবন্দর সংলগ্ন চারআলী বাজার মোড়ে পথ নির্দেশক (ইন্ডিকেটর) না থাকায় যে কোন সময় বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। তবে সওজ বলছে পথ নির্দেশক বোর্ড তৈরি করার জন্য টেন্ডার দেয়া হয়েছে , কার্যাদেশ হলেই লাগানো হবে ।
ওই এলাকার নাকুগাঁও স্থলবন্দরে ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান মিজান জানান, নকলা উপজেলা হতে নালিতাবাড়ী উপজেলা হয়ে নাকুগাঁও স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়কটি দুই লেনে উন্নীত করা হয়েছে। বর্তমান শীত মৌসুমে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শেরপুর জেলার প্রকৃতির পাহাড়ী দৃশ্য অবলোকন করার জন্য উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্ক, নাকুগাঁও স্থবন্দর ও পানিহাটা এলাকায় পিকনিক বা শিক্ষা সফরে আসছেন।
সম্প্রতি নকলা-নালিতাবাড়ী-নাকুগাঁও স্থলবন্দর সড়কের ২৯ কিলোমিটার দুই লেনের কাজ সমাপ্ত হওয়ায় অধিকাংশ দুরপাল্লার গাড়ী বিশেষ করে বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, ইজিবাইক ও মোটরবাইকে এ সড়ক দিয়ে এসব এলাকায় আসেন। ওই সড়কের প্রায় শেষ প্রান্তে নাকুগাঁও স্থলবন্দরের সন্নিকটে চারআলী বাজার মোড়ের বাম দিকে মধুটিলা ইকোপার্ক ও গজনী অবকাশ কেন্দ্র, সোজা উত্তরে নাকুগাঁও স্থলবন্দর। ১০০ গজ উত্তরে ডান দিকে সম্ভাবনাময় পানিহাটা পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু চারআলী বাজার মোড়ে পথ নির্দেশক না থাকায় ভ্রমন পিপাসু আগতদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। কেউ কেউ উল্টো পথে চলে যাচ্ছে। কেউবা আবার সীমান্তের জিরো পয়েন্টে চলে যাচ্ছে।
তাছাড়া স্থানীয় যানবাহন ছাড়াও প্রতিদিন নাকুগাঁও স্থলবন্দরের পাথর ও কয়লাবাহী ট্রাক চলাচল করছে। এখানে পথ নির্দেশক (ইন্ডিকেটর) না থাকায় এসব গাড়িগুলো বাজার মোড়ে এলেই এলামেলো হয়ে যায়। এতে যে কোন সময় বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে শেরপুরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদ বলেন, উল্লেখিত চারআলী বাজার মোড়ে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা কম। তবে পথ নির্দেশক না থাকায় দুরদুরান্তের যানবাহন পথ ভুলে অন্যদিকে চলে যেতে পারে। এজন্য এরইমধ্যে আমরা পথ নির্দেশক বোর্ড তৈরি করার জন্য টেন্ডার দিয়েছি। দ্রুতই কার্যাদেশ দিব। আশা করছি আগামী জুন মাসের মধ্যেই নাকুগাঁও চারআলী বাজারে পথ নির্দেশক লাগাতে পারব। আশা করি এতে কোন সমস্যা হবে না।