শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রশাসন প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাব মোকাবেলায় শুধু সচেতনতা আর ত্রাণ সহায়তা নয় এখন কৃষক বাচাতে ত্রাণের সাথে সবজিও অসহায়দের মাঝে বিতরন করছেন। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত সবজি চাষীদের পাশেও দাঁড়াতে হবে এই ভাবনা থেকে চাষীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এই উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। ভিন্নধর্মীএই উদ্যোগ কৃষক এবং ত্রাণ প্রাপ্তরা উভয়ই খুশি হচ্ছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে বিভিন্ন এলাকার বাণিজ্যিক সবজি চাষীর কাছ থেকে উৎপাদিত করলা, চিচিংগা আর বাঁধাকপি বাজার মূল্যে ক্রয় করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান। তাকে এ কাজে সহযোগিতা করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবীর। এর আগে শুক্রবার দিনভর এ তিন প্রকারের সবজি ক্রয় করে মধ্যরাত পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তার জন্য প্যাকেটজাত করা ৫ কেজি চালের সাথে সবজিও যোগ করা হয় স্বেচ্ছাসবেকদের নিয়ে। এতেকরে করোনার প্রভাবে অসহায় পরিবারগুলো চালের পাশাপাশি খাবার জন্য সবজিও পাবেন।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে প্রাপ্ত জিআর এর বরাদ্দকৃত চাল ৫ কেজি, সাথে দেড় কেজি করলা, দেড় কেজি চিচিংগা ও একটি করে বাঁধাকপি দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে ৫ ইউনিয়নে চালের সাথে করলা ও চিচিংগা এবং কলসপাড় ও রূপনারায়নকুড়া এ দুই ইউনিয়নে চালের সাথে বাঁধাকপি ও করলা দেওয়া হচ্ছে। করোনার প্রভাবে অসহায় প্রতি ইউনিয়নে ৩শ জনের মাঝে এ সহায়তা প্রদান করা হবে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবীর জানান, অনেক কৃষক তাদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করতে পারছেন না। স্থানীয় বাজারের বাইরেও রপ্তানী করতে পারছেন না। এতেকরে তারা বিপাকে পড়েছেন এবং আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই তাদের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে আমরা ইতিমধ্যেই ১২০ জনের কাছ থেকে বাজার মূল্যে সবজি ক্রয় করেছি। সবমিলে প্রায় আড়াইশ জনের কাছ থেকে সবজি ক্রয় করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান জানান, প্রায় একশ জনের উপরে কৃষকের কাছ থেকে তাদের উৎপাদিত সবজি ক্রয় করা সম্ভব হয়েছে পর্যায়ক্রমে আরও ক্রয় করা হবে। উৎপাদিত সবজি বিক্রি নিয়ে তাদের যে হতাশা ছিল এতে তা কেটে যাবে বলে আমরা মনে করি।
এসময় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন, সাব্বির আহমেদ বাদশা, সাদ আল জুনাইদ, অভিজিৎ সাহা, মানিক মিয়া, জুবায়ের আহমেদ জয়, আহমেদ জুনাইদ তন্ময়, ইবাদ মোলা, পাবেলসহ স্বেচ্ছাসেবক টিম।