শেরপুর জেলা ছাত্র লীগের উপ-সাহিত্য সম্পাদক এবং নালিতাবাড়ী দেশরত্ন ছাত্রঐক্য পরিষদ নেতা হারুন অর রশিদ (২৬) কে গ্রেফতার করেছে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) পৌর শহরের আড়াইআনী বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, ছাত্রনেতা হারুন অর রশিদ দীর্ঘদিন যাবত নালিতাবাড়ীর বিভিন্ন পেশার সম্মানী লোকেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে আসছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। সবশেষ গত ২৪ জুন হারুন তার ফেসবুক পেজে নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হকের নাম উল্লেখ করে ‘ছোট রাজাকারের ছেলে’ বলে আখ্যা দেয় এবং উস্কানিমূলক কিছু কথাবার্তা পোস্ট করে। এর প্রেক্ষিতে অনেকেই পক্ষে-বিপক্ষে মন্তব্য করলে সেসব মন্তব্যের প্রেক্ষিতেও বেঙ্গাত্মক ও বাজে মন্তব্য করে পোস্ট দিতে থাকে হারুন। একপর্যায়ে বিয়ষটি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক বাদী হয়ে হারুনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামী করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রতিকার চেয়ে লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে আবেদনটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেমামলা হিসেবে গ্রহণ করে এবং বেলা এগারোটার দিকে শহরের আড়াইআনী বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পরপরই তাকে শেরপুরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
তার বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় ধরে নালিতাবাড়ীর বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীসহ নানা মহলের বিরুদ্ধে সম্মানহানি ও অরুচিকর কথাবার্তা ফেসবুকে পোস্ট করার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সাংসদকে নিয়েও বিভিন্ন সময় অরুচিকর পোস্ট করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে ফেসবুকে অরুচিকর ও উস্কানিমূলক পোস্ট করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও একই ধরণের কাজে লিপ্ত অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।