শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে গরুর খাদ্য খেড় বা খড়ের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। এই খড় গরুর প্রধান খাদ্য এখন অমূল্য সম্পদে পরিনত হয়েছে। চাহিদার তুলনায় খড় না থাকায় তা চড়া দামে বিক্রি করছেন কৃষকরা। খড়ের অভাবে অনেক কৃষকেরই এখন গরু বিক্রির উপক্রম হয়েছে। খাদ্যের অভাবে তারা আর গরু পালন করতে পারছেন না বলে জানান।
ভুক্তভুগি কৃষকরা জানায়, যেখানেই খড়ের (পাল্লা) গাদা রয়েছে সেখানেই গরুর মালিকগন ভিড় করছেন। খড়ের অভাবের সময়ের সুযোগ বুঝে কৃষকরা বিক্রি করছেন চড়া দামে। খড় সংকটের অন্যতম কারন হিসাবে বন্যার প্রভাবকেই দায়ী করছেন তারা। বর্তমানে প্রতি ট্রলি খড় বিক্রি হচ্ছে ট্রলি ভাড়াবাদে ৬ হাজার টাকায়। এই খড় শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ক্রয় করে দেশের বিভিন্নস্থানে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। আসন্ন আমন মৌসুমের ধান কাটার আগে আর খড় পাওয়ার কোন উপায় নেই। তাই গরু বাচাঁতে চড়া দাম হলেও কৃষকরা এই খড় কিনাতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার স্থানীয়ভাবেও বেচাঁকেনা হচ্ছে।
উপজেলার বাঘবেড় গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হোসেন ও আন্ধারুপাড়া গ্রামের আব্দুস সবুর মিয়া জানান, খড়ের অভাবে গরুগুলির স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গরু পালন করাই এখন আমাদের বিপদ হয়ে দাড়িয়েছে। এতে অনেক কৃষকই খড়ের অভাবে গরু বিক্রি করে ফেলবে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মো: শরীফ ইকবাল বলেন, নালিতাবাড়ীতে খড়ের কোন সংকট নেই। বরং এই উপজেলা থেকে হাওর অঞ্চলে গবাদিপশুর জন্য ট্রাকভর্তি করে খড় কিনে নিয়ে যাচ্ছে কৃষকরা।
শেরপুর টাইমস/ বা.স