শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারমারী এলাকার সেন্ট লিও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর গারো সম্প্রদায়ের ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাল্য বিবাহ প্রদানকারী ও এর সহযোগীদের বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) নালিতাবাড়ী থানা শাখার নেতৃবৃন্দরা।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বারমারী মিশন সংলগ্ন পুরাতন ওয়ার্ল্ড ভিশন অফিসে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাগাছাছের নেতৃবৃন্দরা জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর বারমারী সেন্ট লিও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গারো সম্প্রদায়ের এক ছাত্রী ও পলাশীকুড়া জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের অপর এক ছাত্রের সাথে এই বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সেন্ট লিও বিদ্যালয়ে কর্মরত দুজন শিক্ষিকা শেফালি মাংসাং ও মিতালি চিরানের সহায়তায় এই অবৈধ্য বাল্য বিবাহটি পরানো হয়। তাছাড়া বারমারী ক্যাথলিক খ্রিষ্টান মিশনের একজন প্রচারক ফ্রান্সিস চাম্বুগং এই ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। এতে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বাগাছাসের নেতৃবৃন্দরা বলেন, ‘যেখানে বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। সেখানে বাল্য বিবাহের মত ঘটনা যদি অহরহ ঘটেই চলে তবে দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের কোন দায়িত্ব থাকে কি? যে দোষী সে যে জাতি বা ধর্মেরই হউক না কেন তাদের উপযুক্ত বিচারের দাবি জানাই’।
সংবাদ সম্মেলনে আরোও জানানো হয়, বাল্য বিবাহের বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে ও স্থানীয় জনগন ক্ষেপে গেলে দুষ্কৃতিকারীরা এক সপ্তাহ পর আবারও ছেলে মেয়েকে আলাদা করে দেয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন উল্লেখ করেন বাল্য বিবাহ ঘটে যাওয়ার পর প্রায় এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলে প্রশাসনের ভয়ে ছেলে মেয়েকে ছাড়াছাড়ি করিয়ে দিলেই কি অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে? এই বিবাহের কারনে দুইটি পরিবারের যে সামাজিক ও মানসিক ক্ষতি হল তার দায় নিবে কে এমন প্রশ্ন রাখেন বাগাছাসের নেতৃবৃন্দরা।
এসময় বাগাছাছের নালিতাবাড়ী শাখার সভাপতি সোহেল রেমার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা ও সাহিত্য বিষয় সম্পাদক সঞ্জিতা চিছাম, প্রচার সম্পাদক অলক চিছাম ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলন শেষে সেন্ট লিও বিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষিকাকে বিদ্যালয় থেকে অপসারণের দাবিতে বক্তব্য দেন নেতৃবৃন্দরা। তাছাড়া যতদিন পর্যন্ত দোষীরা যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সেই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষরা এর যথাযথ ব্যবস্থা না নেবেন ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে হুশিয়ারি দেয় সংগঠনটির নেতৃবৃন্দরা।