‘সাথের সাথী ব্যাথার ব্যাথি ফাতেমা রাণী মা মারিয়া’ এই মুলসুরের উপর ভিত্তি করে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারমারী সাধু লিও’র খ্রিষ্টধর্মপল্লীতে স্থাপিত ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থানে আজ (২৬ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টভক্তদের দুইদিন ব্যাপি বাৎসরিক তীর্থ উৎসব।
তীর্থ উদযাপন কমিটির সমন্বয়কারী পালপুরোহিত রেভারেন্ট ফাদার মনিন্দ্র এম. চিরান জানান, দেশের খ্রিষ্টভক্তদের প্রধান ধর্মগুরু কার্ডিনাল প্রেট্রিক ডি. রোজারিও সিএসসি প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বিকেল ৪টায় খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করবেন। রাত সাড়ে আটটায় রয়েছে বিশাল আলোর মিছিল। নিজেদের পাপমোচনে এই মিছিলে হাজার হাজার খ্রিষ্টভক্তরা মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রায় ২ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ অতিক্রম করে এসে দেশের সর্ববৃহৎ ৪৮ ফুট উচু মা মারিয়ার মুর্তির কর কমলে ভক্তিশ্রদ্ধা জানাবেন। এছাড়াও সান্ধ্যকালীন খ্রিষ্টযাগ, ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন, গীতি আলেখ্য ও নিশি জাগরন অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার সকাল ৮টায় জিবন্ত ক্রুশের পথ ও বেলা ১২টায় মহা খ্রিষ্টযাগের মধ্যদিয়ে দুই দিনব্যাপি তীর্থ উৎসবের সমাপ্তি হবে।
বারমারী খ্রিষ্টধর্মপল্লীর সহ-সভাপতি ও নালিতাবাড়ী ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের (টিডব্লিওএ) চেয়ারম্যান মি. লুইস নেংমিনজা জানান, এবারের তীর্থ উৎসবে বাংলাদেশের প্রধান খ্রিষ্টধর্মগুরু কার্ডিনাল পেট্রিক ডি রোজারিও সিএসসি প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত আছেন। এছাড়া তাকে সহযোগিতা করবেন ময়মনসিংহ খ্রিষ্টধর্ম প্রদেশের বিশপ পনেন পৌল কুবি সিএসসি। এতে দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০ হাজার খ্রিষ্টভক্তগন অংশ গ্রহন করবেন। তিনি আরো জানান, এবারের তীর্থ উৎসবের সার্বিক নিরাপত্তায় সরকারীভাবে পুলিশ, বিজিবি, ব্যাটালিয়ান আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও র্যাবের বিশেষ টহলদল সার্বনিক টহল দিচ্ছেন।
শেরপুর টাইমস/ বা.স