শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের কৃষক তারা মিয়ার একমাত্র ছেলে কিশোর আবু তাহের (১৮) মা বাবার সাথে অভিমান করে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।
সুত্রে জানা গেছে, আবু তাহের ওই গ্রামেরই এক কিশোরীর সাথে প্রেম করত। দু’জনের সম্পর্ক বেশ গভীর হলে ছেলেটি ওই মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে মেয়েপক্ষ রাজীও হয়।
কিন্তু তাহেরের বাবা তারা মিয়া ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা খাতুন কিছুতেই ওই বিয়েতে রাজী হচ্ছিলেন না। তাদের আপত্তি ছেলের বয়স কম। এসএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। সে কিছু একটা করুক । তারপর বিয়ে করবে। তাছাড়া মেয়ের বাবা-মা সিলেটে থাকেন। তাই এতদূরে তারা ছেলেকে বিয়ে করাবেন না। তবে
ছেলে তাহের ওই মেয়েকেই বিয়ে করবে । এ ব্যাপারে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সে মাকে অনুরোধ করে। এ নিয়ে ছেলের সাথে বাবা-মা’র সম্পর্কের বেশ অবনতি হয়।
মঙ্গলবার (৯ জুন) রাতে বিয়ে নিয়ে ছেলের সাথে মা-বাবার ফের কথা কাটাকাটি হয়। এর কিছুক্ষণ পর তারা দু’জন তাহেরকে বাসায় রেখে বাইরে যায়। এদিকে বাড়ীতে এসে দেখতে পান তাহের নেই। এসময় বসত ঘরের ঢুকে মা আয়েশা দেখতে পান ওড়না গলায় পেঁচিয়ে আড়ার সাথে তাহের ঝুলে আছে। ছেলের এ অবস্থা দেখে মা চিৎকার করে জ্ঞান হারান। প্রতিবেশীরা এসে তাহেরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল বলেন, বাবা-মার সাথে অভিমান করে কিশোর তাহের আত্মঘাতি হয়েছে। লাশ এডিএমের কাছে আবেদন করে বিনা ময়না তদন্তে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।