শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে এবার গৃহকর্তার ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী গৃহপরিচারিকা (১৩)। এ ঘটনায় সোমবার (১ জুন) ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় ধর্ষক হারেছ আলীকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হারেছ উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের সন্যাসীভিটা গ্রামের মৃত- আব্দুল ওয়াহাব আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার (২ জুন) দুপুরে হারেছকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। একইসাথে জেলা হাসপাতালে ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা ও আদালতে ২২ ধারার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানিয় সূত্রে জানা যায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার সন্যাসীভিটা গ্রামের দরিদ্র পরিবারের ওই কিশোরী স্থানীয় হারেছ আলীর দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানকে দেখাশোনা করত। গত শুক্রবার সকালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে ওই কিশোরীকে মোবাইল ফোন করে পাশে থাকা বাঘবেড় ইউনিয়ন পরিষদের ভেতর ডেকে নিয়ে যায় হারেছ আলী। পরে তাকে পরিষদের পশু চিকিৎসকের কক্ষে টেনে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে হারেছ। হুমকি ও চাপের মুখে ধর্ষিতা কিশোরী প্রথমে ওই ঘটনা চেপে গেলেও পরে তার অসুস্থতার এক পর্যায়ে মা ও দাদীকে ঘটনা খুলে বলে। পরে সোমবার হারেছ আলীকে আসামি করে নালিতাবাড়ী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে কিশোরীর পিতা। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে হারেছকে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল জানান, কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলায় ধর্ষক হারেছকে গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সেইসাথে ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষাসহ আদালতে জবানবন্দি করানো হয়েছে।