শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে দাফনের দুই মাস পর আদালতের নির্দেশে উসমান আলী (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বড়ডুবি গ্রামের কবরস্থান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য ওই মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়ডুবি গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে ও দুই সন্তানের জনক উসমান আলী গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় নিজ ঘর থেকে বাড়ির পাশে গোয়াল ঘরের গরু দেখার উদ্দেশ্যে বের হয়। রাত নয়টার দিকে গোয়াল ঘরের সামনে বৃষ্টির পানিতে তার নিথর দেহ দেখতে পান স্বজনেরা। পরে তাকে উদ্ধার করে শেরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন ১৭ জুলাই উসমানকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে, মৃত্যুর এক মাস পর উসমানের বড় ভাই আছিমদ্দিন দুই চাচাতো ভাই, প্রতিবেশি এক চাচা ও প্রতিবেশি এক দাদাকে আসামী করে ১৭ আগস্ট আদালতে হত্যার অভিযোগ এনে একটি আবেদন করেন। আবেদনটি আমলে নিয়ে আদালত থানা পুলিশকে মামলা হিসেবে নিতে নির্দেশ দিলে নালিতাবাড়ী থানায় গত ৩ সেপ্টেম্বর এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মোঃ জোবায়ের হোসেনের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত উসমানের ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। নির্দেশমতে সোমবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলমের উপস্থিতিতে ওই যুবকের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন জানান, আগে থেকে পারিবারিক দ্ব›দ্ব থাকায় বাদী উসমানকে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।