শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বন বিভাগের উদ্ধার করা মাদি হাতিটি আদালতের নির্দেশে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে স্থানান্তর করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশনার পর আজ শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) ভোররাতে ট্রাকযোগে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ওই হাতি স্থানান্তর করা হয়।
মামলার বাদী ময়মনসিংহ বন বিভাগের শেরপুর সদর রেঞ্জকর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম জানান, গত সোমবার (২৫ এপ্রিল) নালিতাবাড়ী উপজেলার বনকুড়া এলাকা থেকে লাইসেন্সবীহিন ৬ বছর বয়সী একটি মাদি হাতি উদ্ধার করা হয়। পরে হাতির মালিক মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল করিম ও মাহুত নালিতাবাড়ী উপজেলার বনকুড়া গ্রামের আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২৪ (১)/৪০ ধারায় নালিতাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর পুলিশ মাহুত আব্দুর রউফকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। সেইসাথে উদ্ধারকৃত হাতিটি মধুটিলা ইকোপার্কে জমা রাখা হয়। এদিকে, গারো পাহাড়ে বন্যহাতির তান্ডব অব্যাহত থাকায় উদ্ধার হওয়া হাতিটি নিরাপত্তাহীনতায় পরে। এনিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) শেরপুরের জিআর আমলী আদালতে হাতিটি স্থানান্তরের আবেদন করেন বাদী মঞ্জুরুল আলম। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুল ইসলাম খান হাতির নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে উদ্ধার হওয়া হাতিটি বঙ্গবন্ধু সাফারিপার্কে পাঠানোর নির্দেশ দেন। নির্দেশমতে শুক্রবার ভোররাতে বঙ্গবন্ধু সাফারিপার্কে ওই হাতি পাঠানো হয়েছে বলে বনবিভাগ নিশ্চিত করেছে।
এ ব্যাপারে শেরপুরের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার জানান, হাতি লালন পালন করতে হলে সরকারীভাবে লাইসেন্স করতে হয়। উদ্ধারকৃত হাতির মালিকের লাইসেন্স না থাকায় বিষয়টি নিয়ে আইনের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। আদালতের পরবর্তী নির্দেশনা মতে পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।