শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সদস্য (মেম্বার) পদে সহোদর ২ ভাই প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। ২ ভাইয়ের ভোটের লড়াই নিয়ে এলাকার ভোটারদের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ওই ইউপিতে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন ৬নং ওয়ার্ডের দুই বারের ইউপি সদস্য আবদুল জব্বার আলী টিউবওয়েল ও তার ছোট ভাই মাসুদ রানা ফুটবল প্রতিক নিয়ে। তারা রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের পানিহাটা গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউপিতে নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আমানউল্লাহ বাদশা বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন। ফলে ওই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহন হচ্ছে না। তাই সদস্য পদের (মেম্বার) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে আলোচনা চলছে বেশ। ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী রামচন্দ্রকুড়া ইউপিতে দুটি গ্রাম পানিহাটা ও রামচন্দ্রকুড়া নিয়ে ৬নং ওয়াড গঠিত। পানিহাটা গ্রামে ভোটার ৯১৩ ও রামচন্দ্রকুড়ায় ভোটার ৬০১ জন। এই ওয়ার্ডে ২ ভাই ছাড়াও আবদুল হামিদ নামের আরেক প্রার্থী আছেন। পানিহাটা গ্রামের ভোটার সাইফুল ইসলাম বলেন, একই গ্রামের ২ ভাই প্রার্থী হয়েছেন। স্থানীয় লোকজন চাইছেন, নিজেদের গ্রাম থেকেই কেউ নির্বাচিত হোক।
নির্বাচনে প্রার্থিতার ব্যাপারে মাসুদ রানা বলেন, তার বড় ভাই দুই বারের নির্বাচিত সদস্য। এবার তাকে ছাড় দিতে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা মানেন নি। তাই তিনিও প্রার্থী হয়েছেন। তাদের পরিবারের অধিকাংশ আত্মীয় স্বজন তার পক্ষে আছেন। আর আবদুল জব্বার আলী বলেন, আমি পরীক্ষিত প্রার্থী। জীবনের বাকি সময়ও নির্বাচিত হয়ে জনগণের কল্যানে কাজ করে যাবো।
উল্লেখ্য, তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নে আগামী ২৮ নভেম্বর ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।