শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের উপনির্বাচনে ভোটারের বাড়ীতে গিয়ে ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। রোববার (২৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের বৈশাখী বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়নের উপনির্বাচনে নৌকা ও মোটসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান পদে দুই পক্ষের সমর্থকের মাঝে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১০ জন। এতে উভয় পক্ষের গুরুতর আহত দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় পুলিশী টলহ জোড়দার করা হয়েছে। এদিকে, নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুল ইসলাম জুয়েল ও স্বতন্ত্র মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রার্থী খোরশেদ আলম খোকা এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার দুপুরে রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী খোরশেদ আলম খোকাসহ সমর্থকরা তাড়ানী গ্রামের নেকবরের বাড়ীতে ভোট চাইতে যান। একই সময়ে নৌকা প্রতিকের সমর্থরা সেখানে ভোট চাইতে যায়। এই ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মাঝে সংর্ঘষ বাঁধে। একপর্যায়ে শুরু হয় হাতাহাতি মারামারি। এ ঘটনার জেরে আবার পাশের বৈশাখী বাজারে নৌকার প্রচার কেন্দ্রের সামনে নৌকা ও মোটরসাইকেল প্রতিকের সমর্থকের মাঝে সংর্ঘষ বাঁধে এতে উভয় পক্ষে আহত হয় কমপক্ষে ১০ জন। এসময় নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুল ইসলাম জুয়েলের ছেলে আরমান ইসলাম (১৮) গুরুতর আহত হয়। এছাড়া নৌকা প্রতিকের সমর্থকসহ আরও ৭ জন আহত হয়। অপরদিকে মোটরসাইকেল প্রতিকের সমর্থক আব্দুর রবও গুরুতর আহত হলে আহত দুইজনকে ময়মনসিংগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী খোরশেদ আলম খোকা বলেন, ভোট চাইতে গেলে অমার কর্মীদের উপড় হামলা চালানো হয়। এতে আমার ২জন কর্মী আহত হয়। এছাড়া সীমান্ত পরিবহনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করায় গাড়ীর গ্লাস ভেঙ্গে গেছে।
নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুল ইসলাম জুয়েল বলেন, প্রতিপক্ষের হামলায় আমার ছেলে আরমানসহ ৮জন কর্মী আহত হয়েছে। বর্তমানে আরমানকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহম্মেদ বাদল বলেন, শান্তি শৃখংলা রক্ষার্থে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উভয় পক্ষ হতে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।