শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বিনা উদ্ভাবিত স্বল্প জীবনকালীন ও উচ্চ ফলনশীল আগাম আমন ধানের জাত বিনা ধান-১৭ এর প্রচার ও সম্প্রসারনের লক্ষে বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট (বিনা) নালিতাবাড়ী উপ-কেন্দ্র উপজেলার পলাশীকুড়া জনতা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এর আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন নালিতাবাড়ী বিনা উপ-কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ও উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডঃ মাহবুবুল আলম তরফদার। অনলাইনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ বিনা কেন্দ্রের মহাপরিচালক ডঃ মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ বিনা কেন্দ্রের পরিচালক (গবেষনা) ডঃ আব্দুল মালেক, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও গবেষনা সমন্বয়ক ডঃ মঞ্জুরুল ইসলাম ও নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবির।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নালিতাবাড়ী বিনা উপ-কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন, খামার ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ শফিকুজ্জামান, ফয়সাল আহমেদ, শিক্ষক নেছার উদ্দিন, উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তা জাকির হোসেন ও শফিউলবারী সোহেল প্রমুখ।
এরআগে উপজেলার কৃষক বাতকুচি গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলীর জমিতে বিনা ধান-১৭ জাতের প্রদর্শনী প্লটের ফসল কর্তন করা হয়। এতে ১৪% আদ্রতায় একরে ৫১ মণ হারে বিনা ধান-১৭ জাতের ধান উৎপাদনের রেকর্ড করা হয়।
অনুষ্ঠানে কর্মকর্তরা বলেন, দেশের জনসংখ্যা বাড়লেও ফসলী জমি বাড়ছে না। তাই স্বল্প জমিতে অধিক ফসল ফলানোর জন্য কৃষি বিজ্ঞানীরা প্রানপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সে লক্ষে বিনা নতুন নতুন আগাম জাতের ধান উদ্ভাবন করছেন। এমনি উদ্ভাবিত বিনা-১৭ জাতের ধানের স্বল্পজীবনকাল ও উৎপাদন খরচ কম। এ জাতের ধান কর্তনের পর কৃষকরা ওই জমিতে সরিষা আবাদ করতে পারবেন। সরিষার পর আবার বোরো ধান আবাদ করতে পারবেন। এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তায় ফসলী জমিতে ৪টি আবাদ করার পরামর্শ দেন কর্মকর্তারা। এতে এলাকার কৃষকরা অংশ গ্রহন করেন।