শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে উপজেলা প্রশাসন টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে শনিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ভোগাই নদীর শিমুলতলা এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে হাসেম আলী (২৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে দুই মাসের কারাদন্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুম। দন্ডিত হাসেম আলী উপজেলার বারমারী এলাকার বুরুঙ্গা গ্রামের হুরমুজ আলীর ছেলে।
সুত্র জানায়, ভোগাই নদীতে শ্যালু মেশিন চালিত ড্রেজার বসিয়ে নদী তীর ভেঙ্গে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল বালু ব্যবসায়ীরা। পরে শনিবার পুলিশ ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সহায়তায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে শিমুলতলা এলাকায় টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বালু উত্তোলনরত অবস্থায় আসামী হাসেম আলীকে গ্রেপ্তার করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বালু মহাল ও মাটি ব্যাবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী দুই মাসের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা আনাদায়ে আরো তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এছাড়া অন্য একটি স্থান থেকে ১ টি মেশিন জব্দ করে তা অকার্যকর করা হয়। তবে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত ব্যাক্তিরা পালিয়ে যাওয়ায় গ্রেপ্তার করা যায়নি। অভিযানকালে ঘটনাস্থল হতে অবৈধভাবে উত্তোলিত প্রায় ১০০ ঘনফুট বালু জব্দ করে উপজেলা সদরে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজুল আলম মাসুম জানান, এখন থেকে যেখানেই অবৈধ বালু পাওয়া যাবে সেখানেই অভিযান করে বালু ও সরঞ্জামাদি জব্দ করে নিয়ে আসা হবে। নদীর তীরে বালুর স্তুপ রাখা যাবে না। কোন অজুহাতেই অনুমোদনহীন স্থান হতে বালু উত্তোলন করা যাবেনা। তিনি আরো জানান, বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত সামগ্রী জব্দ করে আনার জন্য অভিযানের সময় এখন থেকে ট্রাক ব্যবহার করা হবে।