শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে রাজমিস্ত্রী শ্রমিক চার সন্তানের জনক মনির হোসেন (৪৩) নামের এক বাংলাদেশী নাগরিকের লাশ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুরে উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বিজিবি বিএসএফ এর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই লাশ হস্তান্তর করা হয়। নিহত মনির হোসেন শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের পশ্চিম খারামোরা গ্রামের মৃত মুনসের আলীর পুত্র।
সুত্রে জানা গেছে, মনির হোসেন গত সোমবার (১ মে) নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজির একপর্যায়ে শ্রীবরদী থানায় জিডি করে জানতে পারেন ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার লাশ হস্তান্তর করা হবে। সে লক্ষ্যে বিজিবি ও বিএসএফ যৌথভাবে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ১১১৬ নম্বর এলাকায় এক পতাকা বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে জানানো হয় মনির হোসেন গত সোমবার শ্রীবরদী উপজেলার ভারত-বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে রাত ১২ টার দিকে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। এসময় ভারতের স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে আটকের পর পিটিয়ে গুরুতর আহত করে রাস্তায় ফেলে রাখে। খবর পেয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুড়া জেলার ডালু থানা পুলিশ আহত অবস্থায় মনিরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তুড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার তিনি মৃত্যু বরন করেন। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজিবি বিএসএফ এক যৌথ পতাকা বৈঠক করে তার লাশ হস্তান্তর করে ভারতীয় পুলিশ। পতাকা বৈঠক শেষে নিহত মনির হোসেনের ছোট ভাই মিজানুর রহমান ও ছেলে মজিদুল ইসলামের নিকট লাশ বুঝিয়ে দেন বাংলাদেশ পুলিশ।
এই পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) রায়হানা ইয়াসমীন, নালিতাবাড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক, শ্রীবরদী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, ময়মনসিংহ বিজিবির ৩৯ ব্যাটালিয়নের হাতিপাগার ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার ওবায়দুর রহমান। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মেঘালয় রাজ্যের তুড়া জেলার ডালু থানার ওসি দীনবন্ধু বর্মণ ও বিএসএফ এর কর্মকর্তাগণ।